Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে যা বললেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৩

গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে যা বললেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে ২০২১ সালে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বপ্রথম চালু করা হয় 'গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা'। সেবছর ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা সৃষ্টি হলে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নীতিমালা সংশোধন করা হয় এবং নতুন করে যুক্ত হয় আরো দুই বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কম বেশি আসন ফাঁকা থাকলেও পরবর্তীতে আর ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন গুচ্ছ ভর্তি একটি মুদ্রার মতো, এর উভয় পিঠ রয়েছে। এ বিষয়ে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরছেন ক্যাম্পাসলাইভের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এ টি এম মাহফুজ

 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জটিলতা কমিয়ে আনতে হবে

মোঃ রাসেদুর রহমান ,বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

মনে পড়ে ২০১৭ সালে আমার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে প্রায় ৭ কিলো পথ ২ ঘন্টা ধরে হেটে আসার পর বাস নিয়েও ভোগান্তির শিকার হওয়া।গুচ্ছের সবথেকে বড় একটা সুবিধা হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সহজেই তার বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা দিতে পারছে এতে তার সময় , অর্থ , মানসিকতা সাশ্রয় হচ্ছে।একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পছন্দ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং 'বিদ্যার্থী'র পরিচালক হওয়ার সুবাদে গত দুই বছরে আমরা কিছু সমস্যাগুলো দেখেছি। যেগুলো হলো- বায়োলজি এবং ম্যাথ দাগানো নিয়ে কনফিউশান তৈরি, ম্যাথ না দাগিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট প্রদান, ভর্তির সময় আসন ফাকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা, ভর্তি কার্যক্রম বিলম্বিত করা,প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে এপ্লাইয়ের চার্জ নেওয়া। এই সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোকে কমিয়ে এনে শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা চাই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সকল শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করুক। আমার ব্যক্তিগত মতামত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অব্যহত থাকুক তবে জটিলতা কমিয়ে আনতে হবে। আবেদন ফি কমানো, মেডিকেলের মত করে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন এবং সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনে জটিলতা কমিয়ে আনা।তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি না করাই ভালো কারণ একটা পরীক্ষা অনেক শিক্ষার্থীরই খারাপ হয়ে যায়।

 

গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরী হচ্ছে

নিশাত তাসনিম সুপ্তি ,পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে এক নতুন আশা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং পদ্ধতিকে সুবিধাজনক মনে হচ্ছিল কিন্তু বাস্তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। গুচ্ছ পদ্ধতির মূল লক্ষ্য ছিল, শিক্ষার্থীদের আর্থিক কষ্ট লাঘব করা, ভোগান্তি দূর করা, সময় সাশ্রয় করা ও হয়রানি বন্ধ করা; যার কোনোটি বাস্তবে দেখতে পায়নি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিদিষ্ট ফি প্রদান করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে অধিক পরিমাণ আবেদন ফি নেয়।তাছাড়া ভোগান্তি কমাতে গিয়েও ব্যবস্থাপনার কিছু বিশৃঙ্খলার জন্য পছন্দের কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থীই। ফলে ভোগান্তি, হয়রানি ও অর্থ খরচ কমাতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তৈরী হচ্ছে। কারণ এখন আর কেউ নিজের জেলার কাছাকাছি বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে দূরে কোথাও পড়তে যাবে না শিক্ষার্থীরা। গুচ্ছ পদ্ধতির পূর্বে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলার ছেলেমেয়ে থাকতো এবং তাঁদের মধ্যে কালচারাল, ভাষাগত যে পরিবর্তন হতো, সেটা এখন আর হবে না।গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া একজন শিক্ষার্থী হিসাবে আমার মনে হয় উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনাপূর্বক সমস্যাগুলোর সমাধান করলে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছের আসল সুবিধা পাবে।

 

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে বেড়েছে

রনি আক্তার,এপিপিটি বিভাগ

গুচ্ছ পরীক্ষার পরিকল্পনা ভালো ছিল কিন্তু কতৃপক্ষ আমার মতে গুচ্ছের মান ধরে রাখতে পারেনি। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আজও গুচ্ছের মধ্যে নাই। এমনকি কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরিক্ষা থেকে পিছু হঠছে এর প্রধান কারণ হলো গুচ্ছের কারণ এর অবহেলা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে বেড়েছে, স্বস্তির বদলে বেড়েছে মানসিক চাপ, ভার্সিটি গুলোর রয়েছে ফি নির্ধারণের অসংগতি। একক পরিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের মান ধরে রাখে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে পড়াশোনার উপর নির্ভর করে তৈরি হয় প্রশ্ন কাঠমো। যেমন মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের রয়েছে নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামো।কিন্তুু গুচ্ছের প্রশ্নের মানের কোন ঠিক নাই। একক পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীর নিজের ইচ্ছের ইউনিভার্সিটিতে পরিক্ষা দিতে পারবে। এতে করে তাকে গুচ্ছের প্রশ্ন কাঠামো মতো প্রিপারেশন না নিলেও চলবে। তাছাড়া ভার্সিটি একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যা আমাদের ত্যাগ, কষ্ট করেই অর্জন করতে হবে।

 

ত্রুটি গুলো বিবেচনা করে পদ্ধতি আরো উন্নত হোক

সুরাইয়া পারভীন সততা ,পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ

গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য আয়োজিত হয়। আমি ২০২১-২২ সেশনের একজন পরিক্ষার্থী ছিলাম। প্রথমত তারা একই আবেদনে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে বলে ১৫০০ টাকা আবেদন ফি নেয়, পরীক্ষার পর আবার নতুন করে নিয়ম করে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আবেদন ফি ৫০০।এরপর মেধাতালিকা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। একেক মেধাতালিকা দিতে ১৫-২০ দিন সময় নিতে থাকে, এতে করে নতুন করে খুব কম শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় স্থান পাচ্ছিল, হঠাৎ সপ্তম মেধাতালিকায় এসে তারা নোটিশ দেন যে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন একেবারেই বন্ধ। যেটা হাজারো শিক্ষার্থীর জন্য জুলুমের সমান ছিলো। একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় পায়নি অথচ তার চেয়ে কম মার্ক নিয়ে অনেকেই ভালো ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। স্পষ্টভাবে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হয় এখানে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করে শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশনের পক্ষে রায় পায়। কিন্তু সেই সপ্তম মেরিটের অবৈধতা বৈধ হিসেবেই রয়ে গেছে। সবশেষে আমি বলতে চাই, গুচ্ছ নামক সিস্টেম আমাদের যে পরিমাণে হয়রানিতে ফেলেছে, আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা যেন এই হয়রানির শিকার না হয়। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই আন্দোলনে নামতে হয় এমন সিস্টেম হয় বন্ধ হোক, নাহয় তাদের সব ত্রুটি গুলো বিবেচনা করে পদ্ধতি আরো উন্নত হোক।

 

গুচ্ছ পদ্ধতির উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি

মোস্তফা গালিব, ইইই বিভাগ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক বেশি সময় লেগেছিল। অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত ৩-৪ মাস সময় ব্যয় হয়, প্রশ্নের মান ও সময় অনুসারে প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। প্রশ্নের ধরণ অনুযায়ী ক্যালকুলেটর ব্যবহারের দরকার হলেও ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। অনেক সেন্টারে পরীক্ষার হলে ঘড়ি ছিল না পাশাপাশি ঘড়ি নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যার ফলে পরীক্ষার প্রশ্ন অনুযায়ী ঘড়িতে সময় দেখতে না পারায় অনেকের পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নি। একজন শিক্ষার্থীর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা দিয়ে আবার আবেদন করা লেগেছে। এতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ইচ্ছামতো আবেদন ফি নির্ধারণ করে। অনেক শিক্ষার্থী একসাথে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পজিশন পেয়েছিল, ফলে তার ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রিপোর্টিং করতে হয়েছে। যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানসিক ও আর্থিক ভোগান্তির কারণ। কেউ পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ও পছন্দের বিষয় পেতে ২ বা ৩ জায়গায় ভর্তি বাতিল ও ভর্তি হতে হয়েছে,এতে অনেক সময় ও টাকা ব্যয় হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয় পেতে গণিত বা জীববিজ্ঞান দাগানো লাগবে সেটি পরীক্ষার আগে থেকে বলা হয়নি,ফলে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সার্কুলার দেয়ার পরে অনেকেই পর্যাপ্ত নাম্বার থাকার পরেও আবেদন করতে পারে নি। সবমিলিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি বলেই আমি মনে করি।

 

পদ্ধতিটাকে আরো উন্নত করতে হবে

নওরিন আক্তার ঐশী ,ব্যবস্থাপনা বিভাগ

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সর্বপ্রথম আামাদের দিয়েই শুরু হয়েছিল। এই ভর্তি প্রক্রিয়াটির আমার দৃষ্টিতে কিছু সুবিধাও আছে আবার কিছু অসুবিধাও আছে। সকল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এককভাবে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি, আমাদের অনেক সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়েছে এবং আমরা আমাদের পছন্দের কেন্দ্রে আত্মবিশ্বাসী এর সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারছি।তবে গুচ্ছ পদ্ধতি যে উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল ,আমি মনে করি সে উদ্দেশ্য সফল করতে পারিনি এই কমিটি । এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সময় , টাকা বাঁচানো ও তাড়াতাড়ি ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা। কিন্তু এগুলোর কোনটাই আজও হয় নি বরং ভর্তি কার্যক্রম শেষ হতে ৩/৪ মাস সময় লেগে যাচ্ছে তাও সিট পরিপূর্ণ হচ্ছে না । আমার মতে গুচ্ছ পদ্ধতির আগেই ভালো ছিলো। কারণ, যবিপ্রবির বিষয় ভিত্তিক শর্ত দেওয়ার জন্য ও সুনাম থাকার কারণে তাড়াতাড়ি সিট পরিপূর্ণ হয়ে যাই। কিন্তু যখন গুচ্ছ পদ্ধতি ছিল না তখন আরো কম সময়ে সিট পরিপূর্ণ হয়ে যেত এবং দ্রুত ক্লাস শুরু হতো।তাই একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে, ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত করতে না পারলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে লাভ কি? তবে ভর্তি কমিটির কাছে অনুরোধ যে, ভর্তির সকল কার্যক্রমে আরও যত্নবান এবং পদ্ধতিটাকে আরো উন্নত করুন যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কম হয় এবং কারো অধিকার যেন ক্ষুণ্ণ না হয়।

 

ঢাকা, ২১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএফ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ