Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

স্বপ্নভঙ্গের পথে ইবির মেগা উন্নয়ন

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ২০:৩৩

ইবির মেগা উন্নয়ন মেগা প্রকল্প। ছবি: প্রতিনিধি

২০১৮ সালে অনুমোদন দেওয়া হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের বাজেট। এ প্রকল্পের বাজেটের আওতায় নির্মাণকাজের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রলালয়।

তবে এসব কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গেল বছরের শেষে। বাজেটের তিন বছর পেরিয়েও ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণগুলো ছাড়া অন্যান্য কাজ শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রকৌশল দফতর সূত্রে, দশতলা ভবনগুলোর একটিতে মাত্র দশ শতাংশ কাজ হয়েছে বাকিগুলো উল্লেখ করার মতো কোন কাজ হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে বরাদ্দ ফেরৎ যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঢিলেমি ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ইতোপূর্বেও দুই ধাপে বরাদ্দ ফেরৎ দিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

প্রকৌশল দফতর জানিয়েছে, মেগা প্রকল্পের অধীনে ক্যাম্পাসে নয়টি ভবনের কাজ শুরু হলেও বর্তমানে একটি ভবনের কাজ চলছে এবং বাকি দুটি ভবনে কয়েকজন শ্রমিক কোনরকমে কাজ চালু রেখেছেন। এছাড়া বাকি ছয়টি ভবনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা। এসব ভবনের মধ্যে পাঁচটি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, দুটি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এবং একটি করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন। ভবনগুলো নির্মাণে মোট ৪০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে দশটি ভবনের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ কাজের মধ্যে তিনটি ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সাতটির মধ্যে একটি ভবনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অন্যগুলো চলছে ঢিমে তালে। শেষ তিন-চার মাস ধরে এসব কাজ বন্ধ রয়েছে।

ঠিকাদারদের দাবি, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে নির্ধারিত বাজেটে তারা কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য কমাতে সরকারের বিভিন্ন মহলে কথা বলছেন। অন্যথায় নতুন করে ভর্তুকির দাবি করছেন। তবে পূর্বের বরাদ্দেই কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ চালু রেখেছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানা কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করায় তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি শহীদ উদ্দিন মো. তারেক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘কাজ চালু রাখতে দফায় দফায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে আসছি কিন্তু তাদেরকে কাজে ফেরাতে পারছি না। করোনার কারণে একটা লম্বা সময় কাজ করতে পারিনি। এজন্য নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি সময় বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে।’

ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে ঠিকাদাররা কাজ করছেন না। আমরা তাদেরকে বারবার চিঠি দিয়ে আসছি। আরো কিছুদিন দেখব, তবুও কাজ শুরু না করলে তাদের কাজ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।’

ঢাকা, ১৩ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ