Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

তারুণ্যের ভালোবাসা মাতৃভাষা

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৪:১৮

১৯৫২ থেকে ২০২২। সত্তর বছর পূর্বে সালাম, বরকত, জব্বারেরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের লক্ষ্যে ঢাকার পিচঢালা পথে জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। বিশ্বে এমন ইতিহাস বিরল যে জাতিকে ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা শুধু একটি ভাষা নয়, বাংলা জুড়ে আছে আমাদের আবেগ, অনুভূতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংগ্রাম। ভাষা আন্দোলনের সাত দশক পূর্তির লগ্নে এসে বাংলা ভাষাকে নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভিত্তিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ভাবনা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিগুলো তুলে ধরেছেন ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

মায়ের ভাষা বাংলা পূর্ণ মর্যাদা পাক

বাঙালি জাতিসত্তার এক অনন্য পরিচায়ক বাংলা ভাষা, ইতিহাসের পাতায় রক্তকালির আঁচড়ে লেখা রয়েছে আমাদের ভাষার প্রতি বিশেষ অনুরক্তি। আজ দীর্ঘ সময় স্রোত অতিক্রম করেছি, দিনে দিনে পেরিয়েছে ৭০ বছর। ভাষার জন্য আত্মদান পৃথিবীর কাল পরিক্রমায় বিরল এক দৃষ্টান্ত, বিস্ময়ের সাথে তাবত দুনিয়াবাসী জ্ঞাত; বাঙালির সাহস-আত্মত্যাগের গাঁথায়। আমাদের পূর্বসূরিদের বীরত্বগাঁথায় আমরা গর্বিত, কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবস্থান উপলব্ধি করলে দেখা যায় "বাংলা ভাষা" নিয়ে জাতিগতভাবে আমাদের যে আত্মত্যাগ সেই অনুযায়ী তার ফলাফল খুব-একটা যুৎসই হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় থেকে শুরু করে দাপ্তরিক পর্যায়ে বাংলাভাষার প্রাধান্য যথাযথ ভাবে প্রতিষ্ঠা হয়নি।

বড় আক্ষেপর বিষয়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে বা ৫২-র আজ ৭০ বছর অতিক্রম করলেও সময়ের তুলনায় বাংলা ভাষায় সেই অর্থে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষার প্রসার নেই বললেই চলে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশসমূহে তে বটেই বাংলাদেশের সমসাময়িক দেশ গুলোতে তাদের নিজেদের মাতৃভাষায় দর্শন, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র, প্রকৌশলবিদ্যার মতো বিষয় গুলো পড়ানো হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে তো বাংলা ভাষা এক রকম অঘোষিত ভাবে গ্রহণযোগ্য এই নয় এমন দশা, বলা হয়ে থাকে বাংলাতে বিষয়বস্তুর উৎসের অভাব নেই বললেই চলে; উৎস থাকবেই বা কেন সেই অর্থে তো চর্চায় হয়নি; নানামুখী জ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোর তো অনুবাদই হয়নি।

আব্দুল্লাহ আল হাসান

 

অমর একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের আত্মদান বাংলা ভাষার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তা সার্থক হবে, অন্যথায় এই মহান শহীদদের আত্মদানের মহৎ উদ্দেশ্য সাধন হবেনা। তাই আমাদের প্রাণের ভাষা-মায়ের ভাষা "বাংলা ভাষার" পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সর্বক্ষেত্রে মাতৃভাষার চর্চা ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তা করা গেলেই মূলত আত্মত্যাগী বীরদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন পূর্ণতা পাবে। ছোট্ট স্বপ্ন পরিবারও এমনি আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।

আব্দুল্লাহ আল হাসান
সভাপতি, ছোট্ট স্বপ্ন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

অধিকারজনিত সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রতীক বাংলাভাষা

১৯৪৭ এর দেশ ভাগের পর পাকিস্তানের শুরু থেকে সৃষ্টি হতে থাকে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতিসত্তার শেকড়ের অনুপ্রেরণর দিন। এই দিনটি ঐতিহ্যের পরিচয়কে দৃঢ় করেছে। বাংলা ভাষার রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসন লাভ করেছে। এ ভাষার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অমর কাব্যগন্থ্য ‘গীতাঞ্জলী’ রচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ১৯১৩ সালে। এ ভাষার অসাধারণ প্রজ্ঞাবান মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঙ্গের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলাকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব পরিমণ্ডলে। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে একুশে আমাদের মননের বাতিঘর হিসেবে।

টিপু কুমার গুপ্তা

 

একুশ এখন সারা বিশ্বের ভাষা ও অধিকারজনিত সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রতীক। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অহংকার ‘শহীদ মিনার’। কিছু ঘটনা চেতনার আলো ছড়ায় সারা বিশ্বে। সে চেতনার দৃপ্ত শপথজুড়ে আছে আমাদের ভাইয়েরা, আমাদের ভাষা শহীদরা। সঙ্গে আছে সেই ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গণ, সেই রক্তের ইতিহাস। মাতৃভাষার সুরক্ষা, বিকাশ এবং অনুশীলন ছাড়া কোনো জাতি অগ্রসর হতে পারে না, বাঙালি জাতি তো নয়ই। আর এভাবেই বাংলা ভাষা দিনে দিনে হয়ে উঠছে বিশ্বায়নের অন্যতম মাধ্যম।

টিপু কুমার গুপ্তা
সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মাতৃভাষার সুষ্ঠু প্রয়োগই হোক অঙ্গীকার

একুশে ফেব্রুয়ারি মানে হচ্ছে জলন্ত শিখা। যা আমাদের স্বাধীনভাবে মনের ভাব প্রকাশে অবদান রাখছে। আজকের বাংলাদেশ পুরোপুরিভাবে বাংলার অবদান, যার জন্য আমাদের বীরেরা জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি, যা বিশ্বের আর কোনো জাতি করেনি। বাংলা ভাষায় কথা বলার মধ্যে অদ্ভূত ধরনের আনন্দ পাওয়া যায়৷ আমাদের বাংলার রয়েছে হরেকরকম আঞ্চলিকতা।

যা আমাদের ভাষাকে অনেক বেশি রোমাঞ্চিত করেছে। তবে দুঃখের বিষয় বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা থেকে আমরা অনেকটা পিছিয়ে। শুদ্ধভাবে বাংলা পড়তে এবং শিখতে আমাদের অনীহা। বাংলা ভাষা চর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা এবং বিকাশ নিয়ে কোর্স চালু করা উচিত। যেমন করে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ ছিলো ঠিক তেমনিভাবে বাংলা ভাষা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। যাদের অবদানে আজ আমরা গর্বের সহিত কথা বলতে পারছি এবং বিশ্বের ময়দানে বাংলাকে তুলে ধরতে পারছি, তাদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

মো. তরিকুল ইসলাম জয়

 

আপনাদের অবদান আমাদের উজ্জীবিত করে, দেশের এবং দশের জন্য কাজের অনুপ্রেরণা জোগায়। বাঙালি তারুণ্যের অপার শক্তির উৎস এ ভাষা আন্দোলন। তাই শুধু ২১ তারিখ নয়, সারা বছর হোক বাংলা ভাষার চর্চা। এটাও সকলের মনে রাখা উচিত আমরা যেনো কখনো ভুলক্রমেও বাংলা ভাষাকে বিকৃতি না করি। সর্বস্তরে মাতৃভাষার সুষ্ঠু প্রয়োগই হোক সকলের অঙ্গীকার।

মো. তরিকুল ইসলাম জয়
ডিরেক্টর, পবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাব।

উচ্চশিক্ষায় বাংলার প্রচলন শুরু হোক

বেশ কয়েকবছর যাবত উচ্চশিক্ষায় বাংলার প্রচলন করার কথাবার্তা চলছে৷ কিন্তু এটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা গেলোনা। চীন, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্সের মত বিশ্বের নানা দেশ উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য হারে সফলতা অর্জন করছে। ইউজিসির (২০১৬) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী। ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর (ইআইইউ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে বাংলাদেশের শতকরা ৪৭ ভাগ স্নাতকই বেকার।এর কারণ হিসেবে বলা যেতেই পারে স্নাতকদের কিছুটা হলেও দক্ষতার অভাব রয়েছে।

মো. মনিরুজ্জামান মুন

 

উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গবেষণাসহ অনেকগুলো বিষয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষা বাংলার প্রচলন দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি হুট করে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, অনেকগুলো বিষয় জড়িত রয়েছে। আশা রাখি, শিক্ষাক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে অগ্রসর হবেন।

মো. মনিরুজ্জামান মুন
সভাপতি, ডিবেটিং সোসাইটি অব এইচএসটিইউ, দিনাজপুর।

বাংলা ভাষা ব্যবহার ও চর্চায় সচেতনতা জরুরি

মাতৃভাষা হলো মানব অস্তিত্ব রক্ষার প্রধান একটি অবলম্বন। যে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি প্রাণ দিয়েছিল, সেই ভাষার ব্যবহার ও চর্চা সম্পর্কে তরুণ সমাজের যথাযথ সচেতনতা নেই। বর্তমানে তরুণদের মধ্যে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার ও চর্চা বেশি। বর্তমানে তরুণরা আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন, চাকরি, অফিস-আদালতসহ প্রতিক্ষেত্রেই ইংরেজি ভাষাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। ফলে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না, নিজস্বতা হারাচ্ছে বাংলা ভাষা।

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

 

এছাড়া উচ্চশিক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার নেই, যা বাংলা ভাষার প্রয়োজনীয়তাকে কমিয়ে দিচ্ছে। সর্বোপরি, ভাষাকেন্দ্রিক সচেতনতা, আবেগ কিংবা নিজস্ব সংস্কৃতিবোধের জায়গাটি নিশ্চিত করতে পূর্বসূরীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। হোক প্রতিজ্ঞা- যে মুখে মা বলবো, সে মুখেই মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষা করবো। তরুণ সমাজ সচেতন হলেই বাংলা ভাষার ব্যবহার ও চর্চা বৃদ্ধি পাবে, এই ভাষাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। তাই এই মাতৃভাষাকে ও একুশের চেতনাকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে তরুণ সমাজকে।

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া
সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

ভাষা হোক উন্মুক্ত, হোক প্রতিবাদের ধ্বনি

ভাষার প্রতি কতটা আবেগ ও ভালবাসা থাকলে নিজের শরীরের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ছিনিয়ে আনতে পারে তার প্রমাণ বায়ান্নর ভাষা শহীদরা। আমাদের দেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভাষা সচেতনতার অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। নতুন প্রজন্ম বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সব ভাষা একত্রে বলছে ও লিখে কোনো ভাষাতেই সুনির্দিষ্ট ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না।

বাংলা ভাষার ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্যে সবার প্রতি সচেতনতা তৈরির বিকল্প কিছু হতে পারে না। একুশের চেতনায়, ভাষা আন্দোলনের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে। আমরা মাতৃভাষা ছিনিয়ে আনতে পারলেও এখনো সম্পূর্ণ মর্যাদা দিতে পারিনি। ভাষার মাসে একটাই প্রত্যাশা মাতৃভাষাকে যথার্থ সম্মান দিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলা ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে।

এবাদুল ইসলাম

 

তাই আমাদের উচিত মাতৃভাষা বাংলাকে শ্রদ্ধা করা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা। তাই বর্তমান তরুণ ছাত্রসমাজের উচিত বাংলা ভাষার সঠিক ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানা ও পৃথিবীর সর্বত্র বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করা। সর্বোপরি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা উচিৎ।

এবাদুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা, পাঠশালা।

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ