ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের হল, পরিবহন ও বিভাগীয় আনুসাঙ্গিক ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য অনুযায়ী কমানো হবে বলে জানিয়েছেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। সোমবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর এসব ফি মওকুফের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, টিউশিন ফি মওকুফের না করার ব্যাপারে যৌক্তিকতা দেখানো যায় যে ক্লাস হয়েছে। পরিবহন ও হল তারা পুরোটাই ব্যবহার করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর হল, পরিবহন ও বিভাগীয় আনুসাঙ্গিক ফি মওকুফের দাবি যৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে ভিসি স্যারের সাথে কথা হয়েছে। স্যার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন এবং পজিটিভলি নিয়েছেন। পুরো ফি মওকুফ করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য অনুযায়ী কনসিডার করা হবে। ৫০ শতাংশ মওকুফ করলেও শিক্ষার্থীদের অনেকটা চাপ কমবে।
ইবি ছাত্র মৈত্রীর স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনার কারণে সারাদেশের নাগরিকদের মত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। বিগত বছরের মার্চ মাস থেকে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক হওয়ায় তারা ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ এলাকায় মেস, বাসাভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেসে বা বাসায় অবস্থান না করেও তাদের ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে।
প্রায় দেড় বছর ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করেনি। আবার পরিবহন সেবাও গ্রহণ করেনি। বর্তমান মহামারিকালে শিক্ষার্থীদের পরিবার আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে দিনযাপন করছে। এমন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের উপর আরোপিত ফি হচ্ছে মরার উপর খাড়ার ঘা। দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের থেকে হল, পরিবহন ও বিভাগীয় আনুসাঙ্গিক ফি আদায় করা সমীচীন হবে না বলে আমরা মনে করি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি সকল ফি মওকুফসহ তিন দফা দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। পরে ১৩ জানুয়ারি একই দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে তারা।
ঢাকা, ২৮ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: