Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

‘অন্ধত্ব’ জয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, অর্থাভাবে স্বপ্ন মলিন!

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবার ২০১৯, ১১:৫৯

চট্টগ্রাম লাইভ : সাইফুদ্দিন রাফি। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সব পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে তিনি দেখিয়েছন ইচ্ছা থাকলে অন্ধত্ব কোন বাধা নয়। এবার ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১১১৬তম স্থান করেছেন রাফি। ঢাবিতে ভর্তির পর শিক্ষকতার মহান পেশাকেই ব্রত হিসেবে নিতে চান রাফি। তবে ‘অন্ধত্ব’ জয় করা রাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। অর্থাভাবের কারণে তিনি টেনশনে আছেন। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে রাফির উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন তত ফিকে হয়ে আসছে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের চানপুর গ্রামে রাফিদের বাড়ি। বাবা আজাহার উদ্দিন ও মা নাজনিন আকতার। বাবার কর্মস্থলের সূত্র ধরে তারা চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামেই স্থায়ী হয়েছেন। ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন আজহার উদ্দিন। মা একজন গৃহীনি। ২০১৫ সালে শিক্ষক পিতার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেন তার বড় বোন আঁখি। আঁখি ভাটিখাইন নলিনি কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। রাফির আরেক বোন জুঁই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

তিন বছর বয়সেই খেলতে গিয়ে চোখে চুন পড়লে দু’টি চোখই নষ্ট হয়ে যায় সাইফুদ্দিন রাফির। একমাত্র ছেলের চোখের আলো ফেরাতে বাবা আজহার উদ্দিন অনেক কষ্ট করেছেন। তিন বার নিয়ে গিয়েছেন ভারতে। সঞ্চিত অর্থের বড় অংশ খরচ করেছেন তার পেছনে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন বর্তমানে যে প্রযুক্তি আছে তা দিয়ে চিকিৎসায় রাফির চোখের আলো ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যতে যদি উন্নত কোন প্রযুক্তি আসে তখন ভিন্ন কথা। একমাত্র ছেলের চোখের আলো আর কোন দিন ফিরবে না- এমন খবরে বাবার বুক ভেঙ্গে গেলেও স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়নি। তাই তাকে লেখাপড়া করিয়েছেন শ্রুতি লেখকের সাহায্যে। রাফি ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসি পাস করেছে জিপিএ-৫ নিয়ে। পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ অর্জন করেন রাফি।

রাফি জানান, বাবার মৃত্যুর পর মা, বোন ও বন্ধু-বান্ধবরা স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়ায় সহযোগিতা করে। শ্রুতি লেখকের সহযোগিতায় সবগুলো পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফল অর্জন করেন রাফি। তিনি বলেন, ‘তার ডান চোখ পুরোপুরিই নষ্ট। বাম চোখে হালকা দিনের আলো আর রাতের অন্ধকার পরখ করতে পারে মাত্র। চোখের আলোয় আলোকিত হতে না পারলেও রাফি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে চান।

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ