সিলেট লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের ইয়াবা সেবনের ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিতর্কিত ওই নেতা তরিকুলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের পৃষ্ঠপোষকতা এমনকি ইয়াবা ব্যবসারও অভিযোগ উঠেছে।
শাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ তার এক পোস্টে উল্লেখ করেন, আমরা যে সময় ক্যাম্পাস ছেড়েছি তখন এতোটা বাজে অবস্থা রেখে আসিনি। তরিকুল ফাওখোর হলেন মাদক সেবন যে করবে তা ভাবতে পারিনি। এখন সে সেবনের পাশাপাশি ব্যবসাও করে কারণ শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক। পোস্টে তিনি তরিকুল ইসলামকে ইয়াবা সেবন ও ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানান।
জানা যায়, তরিকুল খুলিয়াপাড়া, আখালিয়া এলাকার এলাহী ৯/এ নং বাসায় বসবাস করতেন। পরে সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে তিনি ওই বাসা ত্যাগ করেন। ওই বাসায় বসেই ইয়াবা সেবন করেছেন বলে তরিকুলের একাধিক সহকর্মী নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন অনুসারী হয়ে যেখানে অন্যান্য নেতারা নিজে চলতে পারেনা সেখানে তরিকুল সিলেট শহরে ফ্ল্যাট নিয়ে বসবাস করতো, দামি দামি মোটর বাইক চালাতো। অনেক আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল কিন্তু কোন প্রমাণ ছিল না। এমনকি হলসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ইয়াবা সরবারহ করতে তরিকুল।
ছাত্রদলের পৃষ্ঠপোষকতা : ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী শামীম বিশ্বাস ২০১৩ সালের শেষের দিকে ছাত্রদলের মিছিল-সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রদলের মিছিল-সমাবেশে অংশ নেয়া খলিল, শামীমের ছবি প্রকাশ ও একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও তরিকুলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রলীগে পদ পায় ও রাজনীতি করে।
অভিযোগের বিষয়ে তরিকুল সাংবাদিকদের জানান, এই ছবিটি দুই বছর আগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ দুষ্টামি করে তুলেছিল। তিনি বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
তবে আবু সাঈদ আকন্দ জানান, আমি ছবি তুলতে যাব কেন ? আমিতো ইয়াবা সেবন করি না। আর এটা দুই বছর আগের নয়, সাম্প্রতিক ছবি। সে যাদের সাথে সেবন করে তারাই এটা সরবরাহ করেছে। এই ছবির কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সাঈদ।
[কার্টেসি : যুগান্তর]
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: