সিলেট লাইভ : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এনিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট তথা দেশজুড়ে। আর অন্যদিকে শাবি প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে। মূল অপরাধীদের বাঁচাতে শুরু হয়েছে নানামুখী তৎপরতা। চলছে গভীর ষড়যন্ত্র।
ছাত্রলীগের এক কর্মী আটক হওয়ার পর থলের বেড়াল বেরিয়ে আসতে পারে এই ভয়ে ভীত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই মূল অপরাধীদের বাঁচাতে তৎপরতা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ।
তাই চলতি বছর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় বড় রকমের জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেলেও তাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের অনুসারী এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয়, ভর্তিচ্ছু ৫ পরীক্ষার্থীসহ মোট ৮জন রয়েছে।
তবে আটকের বিষয় নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। পুলিশ বলছে ৭জনকে আটক করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি আটক হয়েছে ৮জন। তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদাসীন। মামলা হয়েছে কিনা এবিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারনা দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে মামলা করা হয়েছে বলা হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
শাবির রেজিস্ট্রার এব্যপারে সাংবাদিকদের জানান, রোববার তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে মামলার কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
অন্যদিকে জালালাবাদ থানার ওসি আকতার হোসেন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার মামলা করার কথা বললেও তারা মামলার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে আটককৃতদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা থাকায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে থেকে আল আমিনকে শাহপরান হল থেকে আটক করা হলেও তাকে নিয়ে লুকোচুরি শুরু হয়েছে।
এদিকে কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল হুদা আশরাফী জানান, এই চক্র অনেক বড় একটা চক্র। আমাদের কাছে তথ্য ছিলো অনেক দিন যাবতই এই চক্র শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির চেষ্টা করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জালিয়াতি চক্রের মূল দুই হোতাকে গ্রেফতার করেছি। তারা হল জাবি শিক্ষার্থী ইশরাত ইমতিয়াজ হৃদয় এবং শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আল আমিন।
প্রত্যেক ছাত্রের কাছে তারা ৫-৬ লক্ষ টাকা নেয় এসবের বিনিময়ে। তবে কেউ যদি পাঁচের অধিক শিক্ষার্থী যোগাড় করে দিতে পারে তবে তার জন্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা দিয়ে এ কাজ করে দেয়।
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: