লাইভ প্রতিবেদক: জীবনের সব গল্পের ইতি টানলেন। সকল আশা-আর ভরসার শেষ ঠিকানাতে পা রাখলেন তিনি। আর বিসিএস এর ভাইভা বোর্ডের সামনে বসা হলো না তার। সব কিছুই যেন কেড়ে নিল নিয়তি। একটি মেধাবী মুখের সলিল সমাধি হলো। রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে নেমে সাদমান ওয়াকিল সিফাত নামে এক শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। রোববার এ ঘটনা ঘটে। সিফাত ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
সিফাতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার এ ফল প্রকাশের পর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ছাত্র হিসেবে ছিলেন খুবই মেধাবী। কিন্তু ওই ভাইভার আগেই প্রাণ হারালেন এই মেধাবী মুখ। তার পরিবারের সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে তছনছ হয়েগেছে। তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
জানাগেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করা সিফাতের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। তিনি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান তমাল এবং বীর উৎমারচর জাহেদা শাহাব উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন সুলতানা শিখার ছেলে।
সাদমান ওয়াকিল সিফাত থাকতেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায়। এ ব্যাপারে বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আফতাব নগরের সি ব্লকে একটি সুইমিংপুল রয়েছে। রোববার সকালে সিফাত সেখানে সাঁতার কাটতে যান। সে সময় সুইমিংপুলে অন্য কেউ ছিল না। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন যান সাঁতার কাটতে।
এ সময় সিফাতকে পানিতে ভাসতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান অন্যান্যরা। চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাদের ধারণা সুইমিং পুলে নেমে সাতার কাটার সময় পানিতে ডুবে যান সিফাত।
এদিকে আমাদের দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিফাত কিছু দিন ধরে ওই সুইমিংপুলে নিয়মিত সাঁতার কাটতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মা শিরিন সুলতানা শিখা। তিনি বলেন, সিফাত তাঁদের একমাত্র ছেলে। আরেক মেয়ে রয়েছে তাঁদের। কিন্তু কি হতে কি হয়ে গেল তা তারা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না। তাদের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা নির্বাক। যাকেই দেখে তার দিকে নির্বাক দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকে।
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএলএম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: