লাইভ প্রতিবেদক: আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা কাজ করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। কী ভাবে এড়ানো যাবে পরীক্ষা ভীতি? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
একই বিষয় বার বার পড়তে হবে। আর সেটা শেষ মুহূর্তের পড়া হলে হবে না। অন্তত পরীক্ষার দু’দিন আগে বিষয়টা ঝালিয়ে নিলে অনেকটাই সহজ মনে হবে।
পরীক্ষার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই নিজের সুবিধামতো একটা সময়সূচি বানিয়ে নেওয়া উচিত। কার কীসে সুবিধা, সেটা তার নিজের চেয়ে বেশি কেউ ভাল জানে না। তাই নিজের সুবিধাটা নিজেকেই দেখতে হবে। শুধু পড়াশোনা নয়, কখন খাবে, কতক্ষণ বিশ্রাম নেবে, কতক্ষণ সিনেমা দেখে বা গান শুনে মাথাটা একটু হালকা করে নেবে, সবই যেন থাকে সেই চার্টে।
ঘুম যেন ভাল হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি পড়ার তাগিদে ঘুমকে অবহেলা করে অনেক পড়ুয়া। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। আর শরীর খারাপ হলে গোটা বছরের মেহনতের কোনও মূল্যই থাকবে না।
শেষ মুহূর্তে সব কিছু খুঁটিয়ে পড়া যায় না। ওপর ওপর চোখ বুলিয়ে নিলেও যাতে আসল জিনিসগুলো নজর না এড়িয়ে যায়, সে জন্য হাইলাইটারের ব্যবহার করা উচিত। পড়ার সময় যদি মনে হয় কোনও পয়েন্ট ঠিক করে মনে রাখতে পারছ না বা কোনও পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সেক্ষেত্রে হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারো। এতে পরীক্ষার সময় শুধু ওই পয়েন্টগুলি দেখে নিলেই হবে। এছাড়া বই খোলামাত্রই আপনা আপনি হাইলাইট করা লাইনটি বার বার চোখে পড়বে। ফলে ভুলে যাওয়ার কোনও সমস্যাই থাকবে না।
আড্ডাতেও হোক পড়াশোনার গল্প। এক্ষেত্রে গ্রুপ স্টাডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও একটি বিষয় নিয়ে পড়ার পরে সেই বিষয়টি বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এতে পড়া আরও ভালভাবে মনে থাকে। পরীক্ষার সময় কারও বাড়িতে না গিয়ে ফোনে বা কোনও সোশ্যাল ওয়েবসাইটে বন্ধুদের একটা গ্রুপ বানিয়ে নিয়ে সেখানে আনায়াসেই গ্রুপ স্টাডি করা যেতে পারে।
ঢাকা, ১৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: