Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরষ্কার!

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ১৯:২৮

লাইভ প্রতিবেদক : কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না প্রশ্নফাঁস। প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে ফ্রি স্টাইলে বেপরোয়াভাবে চলছে পরীক্ষা নিয়ে অপকর্ম। এনিয়ে চলছে তোলপাড়।

সম্প্রতি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর চলতি সপ্তাহে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হতে শুরু করেছে। বাংলা দুই পত্রেরই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। সোমবারের ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা সামনে রেখেও দুই দিন ধরে দেখা গেছে ফেসবুকে ব্যাপক অপতৎপরতা।

এসব বিষয় নিয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিলে মিলবে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষা মনিটরিং ও প্রশ্ন ফাঁস এবং পরীক্ষা যথাযথ হয়েছে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে ওই কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভিজিল্যান্স টিম আরো জোরদার করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নের মোড়ক খোলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইস নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হবে। সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘যারা প্রশ্ন ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে, কার্যক্রম দেখে এ কথা প্রতীয়মান হয়, তাদের লক্ষ্য সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হেয় প্রতিপন্ন করা। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে ধরা পড়বে। তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।’

তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রসচিব পরীক্ষার হলে শুধু একটি সাধারণ মানের ফোন নিতে পারবেন বলে জানা গেছে। এদিকে এমসিকিউ তুলে দেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে সেমিনার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

জানা যায়, ১১ সদস্যের কমিটিতে থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিটিআরসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখা এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রণালয়ে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিটিআরসি এবং পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রোববার এসংক্রান্ত সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পূর্বের সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি চালাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বলা হয়েছে।

ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ