Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাজধানীর পার্কে শিশুদের উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৭

রাজধানীর পার্কে শিশুদের উচ্ছ্বাস

লাইভ প্রতিবেদক: আনন্দের যেন একটুকুও কমতি ছিল না। পুরো সময় কটেছে ব্যস্ততায়। দীর্ঘদিন পর বের হওয়ার মজাই আলাদা।
ঈদের আনন্দ শিশুদের চেয়ে কে বা বেশি করতে পারে? নতুন পোশাকের বায়না থেকে ঈদ শেষে ঘুরতে যাওয়ার খায়েস পূরণ না হলে শান্ত হতে চায় না শিশুরা।

আর সব উপেক্ষা করে শিশুদের বায়না পূরণ করেন মা-বাবাও।
পাঁচ বছর বয়সী রাইসার বাবার সঙ্গে ঈদে যাওয়ার বায়না দিয়ে শুরু। ঈদের নামাজ শেষে বিভিন্ন খেলনার বায়না। বাসায় আসতে না আসতেই ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার বায়না। কথাগুলো জানাচ্ছিলেন শিশু রাইসার বাবা মোহাম্মদ শোয়েব।

শোয়েব জানান, মেয়েটা সকালে ঘুম থেকে উঠেই বলে বাবা ঈদে যাব। এরপর এটা কিনে দাও, ওটা লাগবে। বাসায় আসতে না আসতেই বলে শিশু পার্কে নিয়ে চল। শহীদ শেখ রা‌সেল শিশু পার্ক। পার্কটির অবস্থান রাজধানীর কলাবাগান মাঠের পাশেই। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশুদের নিয়ে পার্কটিতে ঘুরতে এসেছেন কলাবাগান, গ্রিন রোড, পূর্ব রাজাবাজার ও ধানমিন্ডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

শিশুদের ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে পার্কটিতে থাকা প্রায় ২০টি রাইড। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে আসা শিশুদের যেন আনন্দের শেষ নেই। বাবা-মাকে রেখে তারা এদিক-ওদিক ছুটছে।

একটা রাইড শেষতো আরেকটার জন্য বায়না করছে। রাইডে বুঁদ হওয়া শিশুরা ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা। কলাবাগানের বাসিন্দা ইয়াসিন আলী বলেন, অফিসের কাজের চাপের কারণে অনেক সময় সন্তানকে নিয়ে বের হওয়ার সময় পাওয়া যায় না। এর আগেও এখানে সে মায়ের সঙ্গে এসেছে।

কাল রাত থেকে বলতেছে, বাবা পার্কে ঘুরতে নিয়ে যেতে হেব। বাসা থেকে পার্ক কাছেই আছে। দুটি রাইড করালাম, দেখি আর কীসে কীসে চড়তে পারে। মরিয়ম নামের এক শিশুর মা বলেন, মরিয়ম গ্রিন রোডের ওয়াইউব্লিউসিতে পড়ে। বায়না ধরলে কয়েকদিন পরপর এখানে নিয়ে আসতে হয়।

ঈদ উপলক্ষ্যে আজ নিয়ে আসলাম। পার্কটিতে বিশেষ রাইডের মধ্যে রয়েছে- নৌকা, নাগোরদোলা, ট্রেন ও জাম্পিং। প্রতিটি রাইডের জন্য আলাদা আলাদা টাকা নেওয়া হচ্ছে। পার্কটিতে থাকা বিভিন্ন রাইডে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। পার্কের দায়িত্বে থাকা আমিনুল জানান, সকাল ১০টা থেকে পার্কটিতে বাবা-মায়েরা তাদের শিশুদের নিয়ে আসতে শুরু করেন।

দুপুর ১টা থেকে লোকজন বেশি আসতে থাকেন। অন্য সময় বিকেলের দিকে ভিড় হয়। আজ ঈদ, তাই আগের চেয়ে লোকজন বেশি আসছেন। পার্কে আসা শিশুদের নাগারদোলায় চড়ার প্রবণতা বেশি বলে জানান আমিনুল। তিনি আরো জানালেন শিশুরা মন খুলে দৌড়াদৌড়ি করেছে। তারা যথেষ্ট প্রফুল্ল ছিল।

ঢাকা, ২২ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএমসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ