শোবিজ লাইভ : ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জান্নাতুন নাঈম এভ্রিলকে নিয়ে বিতর্ক যেন কাটছেই না। এবার নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন চট্টগ্রামের ওই ছাত্রী। তিনি নাকি বিয়ে করেছিলেন। আর ওই তথ্য গোপন রেখে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। অথচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে।
এমনিতেই গ্র্যান্ড ফিনালে এভ্রিলের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক চলছে তার ওপর বিয়ের খবরে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। তাই নতুন করে এনিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাদের।
জানা গেছে, জান্নাতুন নাঈম এভ্রিল তথ্য গোপন করে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। কৃষক হওয়া সত্ত্বেও তিনি পরিচয় দেন তার বাবা সিঙ্গাপুরে থাকেন। গাড়ি বাড়ি সবই আছে। ভাই বড় ব্যবসায়ী। হঠাৎ করে তিনি কিভাবে এত টাকার মালিক বনে গেলেন এনিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসএসসি পাশ করার আগেই এভ্রিলের সঙ্গে বিয়ে হয় চট্টগ্রামের চন্দনাইশের পৌর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মনজুর উদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৮ লাখ টাকা। কাবিননামায় দেখা যায় বিয়ের উকিল ছিলেন মেয়ের বাবা তাহের মিয়া। তাহের মিয়ার বাড়ি চন্দনাইশের বরমা ইউনিয়নের সেরন্দি গ্রামে। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন কৃষক। ২০১৩ সালে এভ্রিল বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
জানা গেছে, চার সন্তানের মধ্যে এভ্রিল সবার ছোট। তিনি বরমা ত্রাহিমেনকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ফল প্রকাশের আগেই তার বিয়ে দেয়া হয়।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এএইচএম সৈয়দ হোসেন বলেন, জান্নাতুন নাঈম আমাদের ছাত্রী ছিল। ছাত্রী অবস্থাতেই তার অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসতো। শুনেছি পরে পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে হয়েছে।
তবে জান্নাতুন নাঈমের মা রেজিয়া বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, তার মেয়ের বিয়ে হয়নি, বাগদান হয়েছিল। মেয়ের বয়স কম ছিল, পাত্র পছন্দ না হওয়ায় সে বিয়ে করেনি। পরে কক্সবাজারের মহেশখালী গিয়ে এইচএসসি পাশ করে সে ঢাকায় চলে যায়।
এদিকে সাবেক স্বামী মনজুরও গণমাধ্যমকে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন অামার সঙ্গে জান্নাতুনের বিয়ের পর দুই মাস সে আমার বাড়িতে ছিল। পরে বাপের বাড়িতে গিয়ে সে আমাকে ডিভোর্স দিতে বলে। কিছুদিন পর দুইপক্ষের সমঝোতায় আমরা বিয়ে বিচ্ছেদ করেছি।
ঢাকা, ০৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: