শোবিজ লাইভ: আমি থামিনি। বরং সাহস আর হিম্মত নিয়ে এগিয়ে চলেছি। পিছপা হাইনি। ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। তিনি বলেন, মুম্বাই গিয়েছিলাম একটা সিনেমা করতে, একদম জীবনের প্রথমদিকের সিনেমা। সেই সময় আমি এক সাংঘাতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই। সেই সিনেমার প্রযোজক সুযোগ বুঝে খারাপ প্রস্তাব দেন।
তিনি তার কস্টের কথা অপকটে স্বীকার করলেন। বললেন, সিনেমা করতে এসে নানা সময়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় নায়িকাদের। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ‘মিটু’ আন্দোলনের পর থেকে হলিউড, বলিউডের অনেকেই এ নিয়ে কথা বলছেন। আমিও বলেছি।
কলকাতায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে গত শুক্রবার বক্তা ছিলেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। এই অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের বাজে অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। অভিনেত্রী ইন্দ্রানী বলেন, ‘তখন আমার বয়স ২০ বছর, মুম্বাই গিয়েছিলাম একটা সিনেমা করতে।
সেই সিনেমার প্রযোজক সুযোগ বুঝে খারাপ প্রস্তাব দেন। রীতিমত শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কুপ্রস্তাব! আমি বারবার বলেছি, এটা করবেন না প্লিজ। আমি এভাবে কখনও কাজ পাইনি, পেতে চাইও না।’
এ কথা শুনে ওই প্রযোজক ইন্দ্রাণীকে বলেন, ‘তুম বাঙালি লাড়কিয়ো কা কুছ নাহি হোগা’ (তোমাদের বাঙালি মেয়েদের এইজন্য কিছু হয় না)। সেই প্রযোজক ইন্দ্রাণীকে ওইদিন বলেন, বড় বড় হিরোইন তার পায়ের তলায়।
জবাবে ইন্দ্রাণী সেদিন দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, ‘হতে পারে বড় বড় হিরোইন আপনার পায়ের তলায়; কিন্তু আমি এভাবে কাজ করিনি, আমাকে কলকাতা থেকে ডেকে এনে কাজ দিয়েছেন, কোনো সমঝোতা বা কম্প্রোমাইজ আমি করবো না।’
অনুষ্ঠানে ইন্দ্রাণী জানান, 'ওই প্রযোজক সেদিন রীতিমত জোর করতে থাকেন। তবে সেদিন আমায় বাঁচিয়েছেন ঈশ্বর। সেই মুহূর্তে ওই নামী প্রযোজকের বউয়ের ফোন চলে আসে, আমি দৌড়ে দরজা খুলে ফেলি। জোরে জোরে কাশতে থাকি যাতে সেই শব্দ ফোনের ওপারে থাকা প্রযোজকের বউ শুনতে পান।
নামকরা ওই প্রযোজক কিছু করতে পারেননি আমার। আমি আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। ২০ বছর বয়সে সেদিনের সেই ঘটনা পরে আমাকের দহনের ঝিনুক হতে সাহায্য করেছিল।’ আমি এখনও সেই সাহসিকতার ভিতকে আকড়ে আছি। আমি পারবো।
ঢাকা, ০৪ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: