লাইভ প্রতিবেদক: ১৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নেমেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। শেষদিনে সকাল থেকেই উৎসব প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্রপ্রেমিদের ভিড় জমে। সিলেটের বাইরে থেকেও উৎসব উপভোগ করতে এসেছেন নির্মাতা ও চলচ্চিত্রপ্রেমিরা।
উৎসবে মোট ৬৬ টি অংশগ্রহণকারী দেশের নির্বাচিত ৭০ টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (বাংলাদেশি) হিসেবে পুরষ্কার জিতেছে নির্মাতা হেমন্ত সাদিকের ‘এ লেটার টু গড’, সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (আন্তর্জাতিক) পুরষ্কার জিতেছে নির্মাতা র্যামি গ্যাব্রি’র ‘ফ্রম ইনসাইড’, শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরষ্কার জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার নির্মাতা রাধে জেগাতেভা’র ‘জার্নি’, সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরষ্কার জিতেছে বাংলাদেশের নির্মাতা নাহিদ উজ জামানের পেপার প্লেনস।
এছাড়া আরও ৫ ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার জিতেছে বাংলাদেশের ‘বাঁকা হাওয়া’, ভারতের ‘হয়ত কবিতার জন্য’, বাংলাদেশের ‘ফ্রিকশন’, পর্তুগালের ‘ফোরটু ফোরটু’, বাংলাদেশের ‘বাক্সবন্দী’।
সন্ধ্যা ৬ টায় উৎসবের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম শাহী আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মুক্তাদির ইবনে সালাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, অর্থশাখার পরিচালক প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহা, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পার্থ প্রতীম বর্মণ ও অজয় কুমার সাহা, প্রভাষক শারমিন আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হৃত্বিক দেব অপু।
বক্তারা বলেন, রাজধানী কেন্দ্রীকতা থেকে বেরিয়ে এসে সিলেটে এমন চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন নিসন্দেহে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতিচর্চার ইতিহাসে এক নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে।
ঢাকা, ১৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: