শোবিজ লাইভঃ বন্ধুদের সাথে ঝগড়া হলে দ্রুত সময়ের মদ্ধে তা মিটমাট করার জন্য রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন বাংলা চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো আসা নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। এসব করেও রাগ না ভাঙলে বন্ধুদের আত্মহত্যার হুমকি দিতেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই।
পিবিআই’র প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সালমান শাহ’র বন্ধু সুমিত রহমানের জবানবন্দির ভিত্তিতে বনজ কুমার বলেন, গুরুগৃহ ক্যাডেট কলেজ কোচিং থেকে সালমানের সাথে তাদের বন্ধুত্ব। সালমান শাহ তার বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখতেন। খুবই আবেগপ্রবণ একজন মানুষ ছিলেন তিনি।
ছোট্ট বিষয় নিয়েও অনেক জেদ করতেন। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মান অভিমানে জড়িয়ে পড়তেন। তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে দ্রুত ঝগড়া মিটমাট করার জন্য নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন। এতেও যদি রাগ না কমতো তাহলে বন্ধুদের আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতেন সালমান শাহ।
বনজ কুমার আরও জানান, সালমান শাহ সুপারস্টার হওয়ার পরে বন্ধুদেরকে সাথে করে নিয়ে তিনবার পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। আর এইসব পিকনিকের সমস্ত খরচ তিনি একাই বহন করেছিলেন।
সালমান শাহ’র বন্ধু নাজমুল হুদা ওরফে মুক্ত, রাকিব উদ্দিন খান, মোখলেসুর রহমান ওরফে ভুট্টো জবানবন্দিতে তার সম্পর্কে তারা একই কথা বলেন।
সালমান শাহর বন্ধু মুস্তাক ওয়াজ তার জবানবন্দিতে জানান, এফডিসিতে জানাজার নামাজ শেষে সালমানের বাবা তাদের (বন্ধুদের) বলেন, ‘ইমন যা করতে চেয়েছিল, ঠিক তাই হলো।’
সালমান শাহর স্ত্রী সামিরার জবানবন্দির ভিত্তিতে পিবিআই’র প্রধান বলেন, ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই চিটাগাং ক্লাবে সামিরার সঙ্গে পরিচয় হয় সালমান শাহ’র। তখন তিনি (সামিরা) 'ও' লেভেলের পরীক্ষা দিতে ঢাকা আসেন। সামিরা তার ফুপুর বাসায় ওঠেন। তখন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৯০ সালে সামিরার সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে মায়ের সঙ্গে সালমান শাহ’র কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় আত্মহত্যা করার জন্য ৯০টি ইনকটিন ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন।
পরে ১৯৯১ সালের ২০ নভেম্বর কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার সেটে বসে সামিরাকে নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সে সময় তিনি আত্মহত্যা করার জন্য স্যাভলন খেয়ে ফেলেন। তখন মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে তাকে ওয়াশ করানো হয়।
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: