শোবিজ লাইভ: ফেসবুক নিয়ে নতুন ফর্মুলা দিলেন। বললেন এটা ছাড়ার উপায় কি? অভিনেতা ইরেশ যাকের ফর্মলা বাতলায়েছেন। বলেছেন অনেক কিছুই। প্রসঙ্গত বর্তমান যুগে বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে এমনকি টিনেজ ও কিশোরদের কাছে ভাত-বিড়িয়ানি ও ফাষ্ট ফুডের চাইতেও প্রিয় এখন ফেসবুক।
সব কিছূ ছাড়তে পারে কিন্তু ওই বিশেষ রংয়ের আকাঁবাঁকা ফেসবুক ছাড়তে নারাজ। এ প্রজন্ম যেন নেশার বুদ হয়ে থাকে ওই বিশেষ বুকের কাছে।
অভিনেতা ইরেশ যাকের। সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারেন তিনি। ঈদের একটি নাটকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। নাটকের নাম ‘ফেসবুক ছাড়ার ৬টি উপায়’।
জানাগেছে নাটকটিতে ফেসবুক ছাড়ার ছয়টি উপায় বলবেন ইরেশ যাকের। বাস্তবেও ইরেশ যাকের ফেসবুকে এখন আগের মতো সরব নেই। এ বিষয়ে ক্যাম্পাসলাইভকে ইরেশ বলেন, ‘আমি ফোনে ফেসবুক ব্যবহার করি না। আগের থেকে ফেসবুক ব্যবহার অনেক কমিয়ে দিয়েছি।’ একেবারে ছাড়ারও পরিকল্পনা আছে।
তিনি তার নিজের ভক্তদের ফেসবুক ছাড়ার একটি উপায়ও বলেছেন ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, ‘আসলে কেন ফেসবুক ছাড়তে হবে? ফেসবুক ব্যবহার করা খারাপ কিছু নয়। তবে যদি কেউ উপলব্ধি করেন ফেসবুক ছাড়তে হবে, তাহলে ছাড়া যেতে পারে। সেটা কীভাবে? তাহলে আমি বলব, নিজের একটা প্রিয় শখ খুঁজে বের করুন। সে শখ পূরণ করুন। তাহলে সময় ভালো কাটবে।’ ইরেশ যাকের আরো বলেন, ‘আমার জীবনদর্শন বোধ এখনো অনেক কম (হাসি)।’
আর ওই ‘ফেসবুক ছাড়ার ৬টি উপায়’ নাটকটি আজ রাত ৮টা ৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারিত হবে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। নাটকটি ইরেশ যাকের ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, সিফাত শাহরিন, ইয়াশ রোহান প্রমুখ।
ওই নাটকের গল্পে দেখা যাবে, রহমান সাহেব বেশ ঝামেলায় আছেন। তার ছেলেমেয়ে দুজনই ফেসবুক আসক্ত। ওরা ফেসবুকিং করতে করতে কতবার দরজায় ধাক্কা খেয়েছে, গাড়ির নিচে পড়তে গিয়েছিল তার কোনো হিসাব নেই।
অবস্থা এমন, ওদের চোখ ফেসবুক থেকে সরতে চায় না। পারলে ওরা খাওয়া-দাওয়া, বাথরুম, পড়াশোনা, ঘুম সবই ফেসবুকে করে। এমন অবস্থায় রহমান সাহেব একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। তিনি জানান, ফেসবুক ছাড়ার ছয়টি উপায় আছে। এখন অপেক্ষার পালা। সময় এলই সব জানা যাবে।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: