লাইভ প্রতিবেদক : বিশ্ববিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার সুলায়মান সুখনের আমন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেয়ার কথা ছিল বলে সুখন জানালেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এনিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যে চিঠিতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই চিঠি নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। তবে সুখন জানিয়েছেন সময় পেছানো হয়েছে। চিঠিটাও সত্য বলে দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২৩ মে বুধবার ‘আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডে’র কর্মকর্তা এবং ফেসবুকের পরিচিত মুখ সোলায়মান সুখন ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, তিনি বিশ্বখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডিং এন্ড ইনসপিরেশনে’র ওপর একটি বক্তৃতা দিতে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ১০ আগস্ট এ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল। সুখনকে পাঠানো ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণপত্রও পোস্টের সঙ্গে যুক্ত করে দেন। কিন্তু ১০ আগস্ট পার হয়ে গেলেও ওই অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি।
নির্ধারিত দিনের তিন দিন পর ফেসবুকে শাকিল আহমেদ নামে একজনের দেওয়া একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। পোস্টদাতা তার লেখায় সোলায়মান সুখনের ক্যামব্রিজ যাত্রার খবর এবং ক্যামব্রিজের প্যাডে লেখা আমন্ত্রণপত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। এরপর ফেসবুকে আরও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে সোলায়মান সুখন বলছেন, ওই অনুষ্ঠানের তারিখ পেছানো হয়েছে এবং ক্যামব্রিজের চিঠিটি পুরোপুরি সঠিক।
সোলায়মান সুখন বলেন, ‘অনুষ্ঠানের তারিখ পেছানো হয়েছে। কোনো অনুষ্ঠানের তারিখ পিছিয়ে যেতেই পারে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। নতুন তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত হয়ে গেলে অবশ্যই জানানো হবে।’
২৩ মে সোলায়মান সুখন এই আমন্ত্রণপত্রটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ আমন্ত্রণপত্রের সত্যতা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোলায়মান সুখনের এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে শাকিল আহমেদের দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ক্যামব্রিজের প্যাডে বিশ্ববিদ্যালয়টির লোগো বাম পাশে থাকে, কিন্তু সোলাইমন সুখনের প্রকাশ করা আমন্ত্রণপত্রে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ডান পাশে। এ ছাড়া ওই আমন্ত্রণপত্রে যার ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তিনিও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ নন বলে অভিযোগ করেছেন শাকিল।
এ বিষয়ে সোলাইমান সুখন বলেন, ‘চিঠিটা তো ওরা পাঠিয়েছে। ক্যামব্রিজে যাওয়ার আগে তো বিষয়টা সবার কাছে প্রমাণ করা যাবে না। আর ফোন নম্বরটা তো ওরা দিয়েছে। আমি কীভাবে জানব এটি কার ফোন নম্বর।’
এটি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণপত্র, এটা কীভাবে নিশ্চিত হয়েছেন–এ প্রশ্নের জবাবে সোলায়মান সুখন বলেন, ‘আমন্ত্রণপত্রটি পাঠিয়েছেন সৈয়দ বাহাউদ্দিন আলম। তিনি ক্যামব্রিজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ফেলো এবং একজন পরমাণু বিজ্ঞানী। আমন্ত্রণপত্রটি শতভাগ সত্য বলে দাবি করেন সোলায়মান সুখন।
ঢাকা, ১৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: