সিলেট লাইভ : স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন কাকতাড়ুয়া থেকে সিলেটের সেরা সুদর্শন ও সুদর্শনা নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবছর সিলেটের সেরা সুদর্শন নির্বাচিত হয়েছেন এমসি কলেজের পাপলু দে। সেরা সুদর্শনা নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজাতুল কোবরা মীম।
আয়োজক সূত্রে জানা যায় শুধুমাত্র মুখচ্ছবির সৌন্দর্য্য দেখে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে-আনন্দে, ঘুরতে বা আড্ডায় আমরা সকলেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের ছবি আপলোড করি। কেউ সাজুগুজু করে আবার কেউ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই নিজেদের চেহারা রাঙাই। সেই সব সুদর্শন মানুষদের খোঁজে এবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলো সিলেটের ব্যতিক্রমধর্মী সংগঠন কাকতাড়ুয়া।
কাকতাড়ুয়ার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে এ প্রতিযোগিতা চলে। তাই প্রতিযোগিতার নাম দেয়া হয়েছিলো “মিস্টার অ্যান্ড মিস স্মার্ট ফেইস”।
এ প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক ছিলেন কন্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। কনকচাঁপা বলেন, জন্মগত ভাবে কেউ একটু বেশী সুন্দর কেউ একটু কম। কিন্তু আসলে সবারই সৌন্দর্য্য আছে। কিছু সৌন্দর্য্য প্রকাশিত কিছু সৌন্দর্য্য অন্তর্গত। আমাদের কাজ হচ্ছে নিজের এই ভেতরের সৌন্দর্য্যকে খুঁজে বের করা। এই প্রতিযোগিতার এটাই প্রধান কাজ হওয়া উচিত। ডিজিটাল যুগে একজন অসুন্দরকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন কোন ব্যপারই না।
এখানে যাদের ছবি দেখলাম সবাই সুন্দর। এবার তাদের দাঁড়ানোর ভঙ্গি, দেহের ভাষা, মেরুদণ্ডের নমনীয়তা, চোখের চাহনি, জামার কাটিং, রং নির্বাচন ইত্যাদি ঠিক করতে হবে। সবশেষে তাদের চোখে শিক্ষার ছাপ ফুটে উঠাতে হবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেন, সিলেট বিভাগের চারটি জেলার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের প্রায় তিনশত ছেলে মেয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে অনলাইন ভোটিং ও বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে সেরা হয়েছেন পাপলু ও মীম।
পাপলু বর্তমানে মুরারীচাঁদ কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মীম সিকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শেষ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।
উল্লেখ্য, মজার এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘সিলেটভিউটুয়েন্টিফোর ডটকম’।
ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: