শোবিজ লাইভ: অ্যাডার গ্যান্ডেলসম্যানের সঙ্গে সেলফি তুলে সপরিবারে দেশ ছাড়তে হয়েছে ইরাকের সারা ইডানকে। এই নিয়ে ঝড় উঠেছে আলোচনা সমালোচনার। শত চেষ্টা করেও ইরাকের মাটিতে অবস্থান করতে পারলনা পরিবারের কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পায়নি সারা ইডান। অবশেষে দেশ ছেড়েছেন সপরিবারে।
‘শত্রু’ দেশ ইসরায়েলের সেরা সুন্দরী অ্যাডার গ্যান্ডেলসম্যানের সঙ্গে সেলফি তুলে বিপাকে পড়লেন মিস ইরাক খ্যাতিপ্রাপ্ত সারা ইডান। কেন এক ফটোতে শত্রু দেশের মডেল? সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেই সপরিবারে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হলো সারা ইডানকে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে।
যারপরই তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। তারপর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষোভ বিশ্বের বহু দেশের।
এদিকে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক খারাপ। আর তারই রেশ এসে পড়ল সারার ছবিতে।
সম্প্রতি টোকিওতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন সারা এবং অ্যাডার। সেখানেই এক ফ্রেমে সেলফি তুলেছিলেন দুই মডেল। এরপর নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করেন সারা। সঙ্গে লেখেন, ‘ভালবাসা এবং শান্তি মিস ইরাক এবং মিস ইসরায়েলের তরফ থেকে।’
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করতেই গোটা দেশের কাছে কার্যত ‘ভিলেন’ বনে যান সারা। একের পর খারাপ মন্তব্য আসতে থাকে। এমনকি তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই সপরিবারে ইরাক ছাড়তে বাধ্য হন সারা। তবে যে ফটো নিয়ে এত তোলপাড় হলো, সেটা এখনও নিজের প্রোফাইল থেকে তোলেননি সারা।
পাশাপাশি অ্যাডারকে জানিয়েছেন, এই ছবি তোলার জন্য তিনি বিন্দুমাত্রও লজ্জিত নন। সেই সঙ্গে একটি পোস্টে লেখেন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করতেই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবি তোলার অর্থ এই নয় যে, তিনি ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করছেন।
এই ছবিটি দেখে যারা দুঃখ পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। এদিকে, যার সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে এত ঝামেলা সেই অ্যাডার জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার পর থেকেই মিস ইরাক সারার সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক তার। দু’জনের মধ্যে অনেক ব্যাপারেই কথা হয়।
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: