শোবিজ লাইভ: ঢাকার সাথে সাথে সিলেটেও মুক্তি পাচ্ছে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর আয়নাবাজি। সিলেটের দর্শকদের কথাচিন্তাকরে স্থিরচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন কাকতাড়ুয়ার আয়োজনে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ৩টায় সিলেট জেলা শিল্পকলার মিলনায়তনে চলচিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
এই আনন্দ আয়োজনের সাথে আরো যুক্ত হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কৃষ্ণচূড়া।
আয়নাবাজি !!! নামেইরহস্য প্রকাশ পাচ্ছে। আয়নাবাজি মানেকী? আক্ষরিক অর্থে যা দাঁড়ায় তাহল ‘আয়নার খেলা’, মানেলুকোচুরি। সব সময় মানুষ আয়নাতে যা দেখে তাই কি হয়? না হয় না, মানুষের ভালো চেহারার পেছনে লুকিয়ে থাকা চেহারা কখনো ফুটে উঠে না আয়নাতে।
আর এখানেই রহস্য, আয়নাবাজি নামকরণ পুরোপুরি ভাবার্থেই করা। মানুষের ভিতরের খেল দেখানোর নামই হল আয়নাবাজি। অমিতাভ রেজা আয়নাবাজির কাহিনী বর্ণনা করেছেন এভাবে ‘আয়নাবাজি খুব সরল সহজ গল্প। বাংলার মানুষে সহজ জীবনের জটিল ধাঁধার এক সমীকরন।
চলচ্চিত্রটির মূল চরিত্র গুলোতে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা ও পার্থ বড়ুয়া। ‘আয়নাবাজি’র সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম সারির কুশলীরা। সঙ্গীত পরিচালনাকরছেন- হাবিব ওয়াহিদ, অর্ণব, ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও চিরকুট! কখনো চিন্তা করছিলেন এদেরকে একই এলবামেপাবেন?
আবহ সঙ্গীতে রয়েছেন ‘বাইশে শ্রাবণ খ্যাত ইন্দ্রদীপ! ইতোমধ্যে ছবির ট্রেইলার, টাইটেল গানটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। গান, অভিনয়, অভিনেতা, পরিচালক ও ট্রেইলার সব কিছু মিলিয়ে একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজের নাম ‘আয়নাবাজি’।
যেখানে প্রতিটি সংলাপে লুক্কায়িত রয়েছে রহস্যের ছাপ। রহস্যের কিনারা করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেটে চলবে আয়নাবাজি। কাকতাড়ুয়ার সভাপতি ফয়সাল খলিলুর রহমান বলেন, “এই একটি চলচ্চিত্র মুক্তির আগেই সারা বাংলাদেশ কাঁপাচ্ছে।
দুই মিনিটের ট্রেইলারেই চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আর অমিতাভ রেজার কাজের মুন্সীয়ানা দেখার পর আর দেড়ি সইছেনা। ”সিলেটের দর্শকের প্রশংসা করে ফয়সাল বলেন, “সিলেটে বড় একটি শিক্ষিত সমাজ রয়েছে যারা বাংলা সিনেমা নিয়মিত দেখেন। সিলেটের মাত্র দুটি হলের গরম ও মাত্রাতিরিক্ত অব্যবস্থপনা ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলা সিনেমা দেখে আসে। এবার আশাকরছি সিলেটের মানুষ ভালো একটি সিনেমা দেখবে।”
কৃষ্ণচূড়ার সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, “অমিতাভের নাটক আর বিজ্ঞাপন দেখেছি, এতো চমৎকার বানায়! যেহেতু এটা তাঁর প্রথম সিনেমা, সেরা কাজটাই দেখবো আশা করছি। এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত এ সংলাপটি পুরো সিনেমা দেখার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন দুপুর ৩টায় আয়নাবাজির শুভ মুক্তি হবে। দ্বিতীয় প্রদর্শনী সন্ধ্যা ৬টায়। শো এর আগে বুথেই ১০০ টাকা মূল্যের টিকিট পাওয়া যাবে। ২য় দিন ১ অক্টোবর ২০১৬, কৃষ্ণচূড়ার আয়োজনে শনিবার সিলেট কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রথম প্রদর্শনী হবে সকাল ১০টায়, দ্বিতীয়প্রদর্শনী দুপুর ৩টায়, তৃতীয়প্রদর্শনী সন্ধ্যা ৬টায়। ৩য় দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার সিকৃবি মিলনায়তনে প্রথমপ্রদর্শনী দুপুর ৩টায়; শেষ প্রদর্শনীঐ দিন সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সিকৃবিতে প্রতিটি প্রদর্শনীর আগেই মিলনায়তনের দরজায় ১০০টাকা মূল্যের টিকিট পাওয়া যাবে। তবে সিকৃবি অডিটরিয়ামে সিলেটের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট আইডি দেখালে বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছে কাকতাড়ুয়া কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সিলেটে আয়নাবাজি মুক্তির খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেইসবুকেও উচ্ছাস প্রকাশ করছেন সিলেটের দর্শকরা। ইভেন্টে গিয়ে বন্ধুদের ট্যাগ দিয়ে সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন কেউ কেউ।
অনেকেই কাকতাড়ুয়া পেইজে (https://www.facebook.com/kaaktadua.film) গিয়ে বিভিন্ন শো এর অগ্রীম টিকিটের জন্য আবেদন করছেন। আয়নাবাজি সিলেটের দর্শকদের কতটুকু “ভেলকি” লাগাতে পারে সেটি এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: