ঢাবি লাইভ: নেপথ্যে কারা। কাদের ইশারায় চলছে অনশন। কে তাকে ইন্ধন দিয়েছে। তাতে কার লাভ, কার ক্ষতি? এমন প্রশ্ন এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন কোন তেমন কোন আলোচনা নেই, মিটিং সমাবেশ নেই, ডাকসু কেন্দ্রীক কোন অনুষ্ঠান নেই এর মাঝে অনশন করছেন একজন শিক্ষার্থী । ব্যাপারটা ভাবনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মঝে এ ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ওয়ালিদ নামে ঢাবির সান্ধ্যকালীন এক শিক্ষার্থী ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবনের সামনে স্মৃতি চিরন্তনের পাশে একটি বাইসাইকেলে প্ল্যাকার্ড বেঁধে অনশন করছেন।
প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলেছে। এনিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। হঠাত ওয়ালিদ কেন অনশনে বসলেন? এর পেছনে কারা ইন্ধন যোগাচ্ছেন এনিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন।
হঠাৎ কি মনে করে অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন জানতে চাইলে ওয়ালিদ ক্যাম্পাসলাইভকে জানান,অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম এভাবে আর চুপ করে থাকা যাবেনা। কিছু একটা করতে হবে।
কারণ ডাকসু নিয়ে তেমন ভাবে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেনা। একবার সবদলের জন্য আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেছিলো কয়েকটি বাম সংগঠন মিলে।কিন্তু সেখানে ছাত্রদল যোগ দিতে এলে ছাত্রলীগ তাদেরকে আলোচনাস্থলে আসতে দেয়নি।
ছাত্রলীগ নিজেও অংশগ্রহন করেনি। তাই আলোচনা করার উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়। এভাবে যখন একের পর এক ঘটনা ঘটে চলছিলো এবং ডাকসু নির্বাচনের ক্ষীন আশাও আর থাকছিলো না,ডাকসু শুধুমাত্র কয়েকটি বাম সংগঠনের দাবি হয়ে উঠছিলো,তখন মনে হলো ডাকসু তো সবার। সবার মধ্য সেই চেতনা জাগিয়ে তুলতেই আমার এই উদ্যোগ নিয়ে ভাবা।
আলোচনার উদ্যোগটিতো অনেক আগে নষ্ট হয়েছিলো ,তাহলে এত দেরিতে কেন সিদ্ধান্ত নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,আসলে যখন নতুন ভিসি আসলেন তখন ভাবলাম হয়তো তিনি কোন উদ্যোগ নিবেন।
কিন্তু আখতারুজ্জামান স্যারকেও সে ব্যাপারে আগ্রহী মনে হলো না । যদিও তিনি রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু ডাকসুর প্রতিনিধি না থাকলে রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েটরা কতটুকু সফল হবেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থের ব্যাপারে?তাই সব দেখে এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
ওয়ালিদ জানান,তিনি অনশনে বসেছেন গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) । এর মধ্য শিক্ষকদের মধ্য শুধু গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষক গীতিআরা নাসরিন তার সাথে দেখা করে সংহতি প্রকাশ করেছেন। আর কেউ আসেননি এখনো।
৬ দিন ধরে অনশনের ফলে তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। কথায় এসেছে জড়তা। কিন্তু মনোবল হারাচ্ছেন না। কথা বলেই চলেছেন সবার সাথে। তিনি চান,সবাই ডাকসুর দাবিতে এক হোক। সামনের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগেই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উদ্যোগ দেখতে চান তিনি।
ওয়ালিদের এই অনশন নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান, ডাকসু যেহেতু শিক্ষার্থীদের একটি গণতান্ত্রিক দাবি তাই যে কেউ এই দাবি জানাতে পারে।
ওয়ালিদ আমাদের কোনকিছু না জানিয়েই অনশন করছে। তবে সে যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সহায়তা চাইতে পারে।
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: