Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

উত্তর পত্রের নম্বার না লিখায় ফলাফল স্থগিত

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বার ২০১৭, ০৪:১০




ঢাবি লাইভ: পঞ্চম সিমেস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরপত্রে প্রশ্নের নম্বর না লেখায় দুই ছাত্রীর ফলাফল আটকে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজে বিভাগে এই ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই ছাত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানি যায়, এই ক্ষেত্রে ফলাফল আটকে রাখার কোনো নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সম্মান পঞ্চম সেমিস্টার ২০১৭ এর সমাপনী পরীক্ষার ‘‘ইন্ট্রোডাকশন টু ইসলামিক ল’, ‘পারসোনাল ল’ অ্যান্ড ‘ল অব ইনহেরিটেন্স ইন ইসলাম’ বিষয়ক কোর্সে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, এই কোর্স পরীক্ষায় পার্ট ‘এ’ ও পার্ট ‘বি’ অংশে ৮টি প্রশ্নের মধ্যে মোট চারটি প্রশ্নের উত্তর লেখার নির্দেশনা ছিলো। দুই ছাত্রী দুই অংশ হতে চারটি প্রশ্নের উত্তর লিখেন। কিন্তু তারা কোন প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন তার নাম্বার দেননি। এতে কোর্স শিক্ষক প্রফেসর মু. মুসলেহ উদ্দীন নিজে প্রশ্নের নম্বর লিখে দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন।

কিন্তু আরেক কোর্স শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মু. শফিক আহমেদ উত্তরপত্র দুটি মূল্যায়ন থেকে বিরত থাকেন। পরে পরীক্ষা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. মু. ইউসুফ ইবনে হুসাইন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর একটি চিঠি দিয়ে কি ঘটেছে তা জানতে চান।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস জানতে পারেন যে, কোর্স শিক্ষক প্রফেসর মু. মুসলেহ উদ্দীন উত্তরপত্র দুটিতে উত্তর দেখে প্রশ্নের নম্বর দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছেন। কিন্তু কোর্স শিক্ষক প্রফেসর ড. মু. শফিক আহমেদ উত্তরপত্র দুটি মূল্যায়নই করেননি।

পরে বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামানের কাছে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, পরীক্ষার উত্তপত্রে এরকম ভুল কাংক্ষিত নয়। তবে এরকম ভুল হলে শিক্ষকরা মানবিক দিক বিবেচনা করে উত্তর দেখে প্রশ্নের নাম্বারিং করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন বলে জানি। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা শিক্ষকদের বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরেক কোর্স শিক্ষক প্রফেসর মু. মুসলেহ উদ্দীন বলেন, একজন মূল্যায়নকারীকে নিয়োগ করা হয়। তিনি তার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেন। আর প্রফেসর ড. মু. শফিক আহমেদকে ফোন দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি বিস্তারিত জেনে আমি পরে জানাবো।

 

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ