টাঙ্গাইল লাইভ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের (৩য় ব্যাচের) শিক্ষার্থী শিমু ইসলাম। ৩৬ তম বিসিএস ভাইভা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ৩৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। স্বপ্ন পূরণের আগেই তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। স্বাভাবিক কোন মৃত্যু নয় সাপের বিষে ছটফট করতে করতে তিনি মারা গেছেন।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমু ইসলম বাড়িতে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শিমু জানান তাকে সাপে কামড় দিয়েছে। তবে এসময় শিমুর পরিবারের কেউ ছিল না সেখানে।
ঘটনার পরে আত্মীয়দেরকে যোগাযোগ করেন আক্রান্ত শিমু। পরে স্বজনরা এসে তাকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সাপে কাটার ভ্যাকসিন না থাকায় রাত একটার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সাপের বিষে নীলাভ শিমুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় আনেক। ভ্যাকসিন তখন আর কোনো কাজে আসেনি। বিষাক্ত এই দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে ততক্ষণে মৃত্যুপথে পা বাড়িয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিবারের গর্ব হতে চেয়েছিলেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ব্যাচের এই মেধাবি বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বিসিএস ক্যাডারশীপের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ৩৬ তম বিসিএসে ভাইভাবোর্ডে চমৎকার পার্ফর্মেন্স দিয়ে আসা এবং ৩৭ তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার গৌরব অর্জন করে আসা শিমু জীবনের হেরে গেলেন বিষের কাছে। তিনি বাসাইলের কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাও ছিলেন। ওই এলাকার নুরু মিয়ার মেয়ে তিনি।
এই অত্যাধুনিক যুগে এসেও তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা ও উপযুক্ত সময়ে ভ্যাকসিনের অভাবে বিষের যন্ত্রণায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তার এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: