লাইভ প্রতিবেদক : ফেইসবুকে পরিচয়ের সূ্ত্র ধরে প্রেম। অতপর অাড়ালে আবডালে ডেটিং। আর এতে বাধা দেয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রেমিকা। ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রেমিকের বাবা-মাকে পেটানো হয়। পরিণামে প্রেমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র লাবিব আল হাদিবের গল্প এটি। গল্পের শেষটা হয়েছে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
পরিবারের অভিযোগ, লাবিবের সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এতে বাধা দেওয়ায় ওই মেয়ের ভাড়াটে লোকজন লাবিব ও তার মা-বাবাকে পেটায়। ওই অপমান সইতে না পেরে ফাঁস লাগিয়ে লাবিব আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ ও লাবিবের পারিবারিক সূত্র জানায়, লাবিব তার মা-বাবার সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের একটি বাড়িতে থাকতো। মঙ্গলবার লাবিবকে ডাকতে যান তার বাবা আনিসুল ইসলাম। এ সময় লাবিবের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢুকে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখেন। দ্রুত তাকে নামিয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম রেজা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এতে বলা হয়, লাবিবের গলার নিচে কালো দাগ রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
লাবিবের বাবা বলেন, ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে একটি মেয়ের সঙ্গে লাবিবের সম্পর্ক হয়। মেয়েটি উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের এই পথ থেকে সরে গিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন। কিছুদিন তাদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে মেয়েটি আবার লাবিবের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। এ ব্যাপারে তিনি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে (মেয়েটি) তাকে তাদের শান্তিনগরের বাসায় যেতে বলে। গত সোমবার রাতে তিনি, তার স্ত্রী, লাবিব ও কয়েকজন স্বজন ওই বাসায় যান। একপর্যায়ে মেয়েটির উপস্থিতিতে ১৫-২০ জন যুবক তাদের মারধর করেন। সেখান থেকে সবাই ফিরে আসেন এবং লাবিবকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে আসেন। লাবিবের বাবা বলেন, মারধরের অপমান সইতে না পেরে লাবিব আত্মহত্যা করেছে।
ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: