ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি হলে ‘সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি’ পরিধান করাকে অশালীন হিসেবে উল্লেখ করে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ এই নোটিশ জারি করে।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘হলের অভ্যন্তরে দিন বা রাতে কখনোই ছাত্রীদের অশালীন পোশাক (সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি) পরা যাবে না। এ পোশাকে হল অফিসে কোনো কাজের জন্য প্রবেশ করা যাবে না। কেউ যদি তা করেন, তবে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।’
তবে নোটিশটি বিকৃত বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার হলের প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্র হলের মেয়েদের পোষাক পরিধান সংক্রান্ত একটি বিকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নোটিশ অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উক্ত বিকৃত নোটিশ হল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত নয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
এদিকে সুফিয়া কামাল হলের এই নোটিশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনা। অনেকে নোটিশটি পোস্ট করে বিরূপ মন্তব্য করছেন।
হলে ছাত্রীদের পোশাকের ‘স্বাধীনতায়’ হল কর্তৃপক্ষের ‘এমন হস্তক্ষেপ’ মেনে নেওয়ার মতো না বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, যেকোনো আবাসস্থলে কোনটা শালীন পোশাক আর কোনটা অশালীন পোশাক, সেই মানদণ্ড কোনো ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দিতে পারে না। শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরে যে পোশাক স্বস্তিদায়ক মনে করেন, সেটাই পরে থাকেন।
প্রসঙ্গ, ২০১২ সালে নতুন এ হলটি নির্মিত হলেও ২০১৩ সাল থেকে সেখানে আবাসিকতা পান ছাত্রীরা। বর্তমানে হলের আবাসিক ছাত্রীসংখ্যা দুই হাজার এবং অনাবাসিক ছাত্রীসংখ্যা ৩ হাজার ৩০০। আর নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন কাজ করা কবি সুফিয়া কামালের নামে হলটির নামকরণ করা হয়েছে।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: