ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার ছিঁড়ে থানায় গেলেন ১১ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের দেয়ালে টানানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় পুলিশি তদন্তের জন্য তাদের শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ৪/৫ জন হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। অন্যরা হলের সাধারণ শিক্ষার্থী। হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া সিসি ফুটেজের মাধ্যমে তাদেরকে শনাক্ত করেন।
সিসি ফুটেজে শনাক্তকারীরা হলেন, আসিফ হোসেন (ব্যাংকিং), রিয়াজ উদ্দীন(ইসলামের ইতিহাস), আজিম উদ্দীন (মনোবিজ্ঞান), মাহমুদুল হাসান(ইসলামী স্টাডিজ), মোকসেদুল আলম (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক),শাহিনুজ্জামান(সমাজবিজ্ঞান), ওবায়েদুল হক ভূঁইয়া(ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট), এহসান আহমেদ(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), মনির হোসেন(পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ), জি এম আরাফাত ইসলাম(অ্যাকাউন্টিং), জি এম বায়েজিদ ইসলাম(দর্শন)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, দুটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ ও জব্দ করা হয়, যা হল কর্তৃপক্ষ তদন্তের স্বার্থে চেক করবে বলে জানা যায়। এগুলো বর্তমানে হল কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আছে।
এ বিষয়ে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষদের মাধ্যমে আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি এবং হল ছাত্রলীগ অভিযোগ করে আমার কাছে বিচার দাবি করে। আমি সরেজমিনে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করি।
সিসি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করি। কয়েকজনের পোস্টার ছেড়ার ধরণ রহস্যজনক মনে হয়েছে বলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা যদি অভ্যাসবসত করে থাকে তাহলে হয়রানির শিকার হবে না। আর যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করে তাহলে হল থেকে তাদের বের করে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সবার মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন বিতর্ক থাকতে পারে না। ১৫ আগস্টের মতো দিনে যারা এই ধরণের অসভ্য কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে হল প্রশাসন।
ঢাকা, ১৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: