Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

এবার জাবির চার শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৭, ২২:১৮

 

জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এবার চার শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের দায়ের করা সন্ত্রাসী ও হত্যাচেষ্টা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই আমরন অনসন শুরু করে। 

এর আগে শনিবার একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আমরণ শুরু করেছিল। এবার তাদের সাথে যোগ আরও দুই শিক্ষার্থী। 

আমরণ অনশনকৃত ছাত্ররা হচ্ছেন, ইংরেজি বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সরদার জাহিদ ও তাহমিনা জাহান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পূজা বিশ্বাস এবং আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খান মুনতাছির আরমান। 

এদরে মধ্যে শনিবার রাত এগারোটার দিকে ইংরেজি বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাহমিনা জাহান এবং রোববার সকাল সাতটায় আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খান মুনতাছির আরমান অনশনে অংশ গ্রহন করেন। 

বর্তমান তারা শহীদ মিনারের পাদদেশে আমরণ অনশন অবস্থায় রয়েছেন। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন। অনশনে অংশ গ্রহনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

গতকাল কাল রাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের নেতারা তাদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু অনশনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের সংকল্পে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে চায় না। যতক্ষণ না আমাদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হচ্ছে ততক্ষণ আমারা এখান থেকে এক বিন্দুও পিছপা হবো না। 

তারা শহীদ মিনারের পাদদেশেই রাত্রি যাপন করেছিলেন। তাদের নিরাপত্তার সার্থে অতিরিক্ত গর্ড নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বড়ি তাদের অনশনকারীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। 

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত ২৬মে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন জাবির দুই শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন রানা (মার্কেটিং বিভাগ, ৪৩ ব্যাচ, আলবেরুনী হল) ও মেহেদী হাসান আরাফাত (মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ৪৩ ব্যাচ, আলবেরুনী হল)। সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৬ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে বিকেলে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুঁড়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ভাঙচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা সহ মোট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

ঢাকা, ১৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ