ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষক তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা নিয়ে তোলপাড় চলছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এমনকি শিক্ষার্থীরাও আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে, ক্যান্টিনে, টিএসসি, কার্জন হল, সেমিনার কক্ষসহ বিভিন্ন চত্ত্বরের চায়ের টেবিলেও নানান মুখরোচক সমালোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, একজন শিক্ষক হয়ে অন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে কিভাবে উদ্যোগ নিলেন এ বিষয়টির হিসাব মিলছে না। তারা আরো বলছেন, মানুষ গড়ার কারিগররা যখন এসব মামলায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে জাতি কার কাছে শিখবে?
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের প্রফেসর আবুল মনসুর আহাম্মদ তথ্য প্রযুক্তির ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের প্রফেসর আবুল মনসুর তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
মামলার বিষয়ে আসামী প্রফেসর ফাহমিদুল হক বলেন, মানহানি হলে সেটা তার হতেই পারে। আমি যা লিখেছি তা সুস্থ জ্ঞানেই লিখেছি। আমি কোন মিথ্যার আশ্রয় নেইনি। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আইনি প্রক্রিয়াই আমি এর মোকাবেলা করব।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে আবুল মনসুরকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধায় শাহবাগ থানায় তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রফেসর আবুল মনসুর আহাম্মদ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এমএসএস ২০১৬ ষষ্ঠ ব্যাচের ফেসবুক গ্রুপে বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. ফাহমিদুল হক তার ফেসবুক আইডি হতে আমাকে উদ্দেশ্য করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে।
এই গ্রুপটিতে ৬৯ জন সদস্য রয়েছে। এ গ্রুপের সদস্যদের নিকট আমার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। আমি এসব দেখে বিব্রতবোধ করছি। আমার ক্যারিয়ারে কালিমা লেপন করা হয়েছে। এ ছাড়া অফিসের কিছু গোপন তথ্য তার পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
এজাহারে আরো বলা হয়, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।এই গ্রুপে পোস্টটি দেয়ার পরে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। সব মন্তব্যসহ ১২ পাতার স্ক্রিনশট নীলক্ষেত থেকে প্রিন্ট নিয়ে তিনি মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
ঢাকা, ১৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: