গণবি লাইভঃ গত ১ জুলাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঈগল পরিবহনের সাথে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা, মা এবং বোনসহ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জনি। প্রাইভেটকারের চালক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া জনির পরিবারের চারজনই এখন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
ওই ঘটনায় তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহনের দাবিতে মঙ্গলবার ঈগল পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আটক করে ক্যাম্পাসের ট্রান্সপোর্ট এরিয়ায় এনে জড়ো করে।
ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের বাইশমাইল নামক স্থান থেকে ঈগল পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর আটকে রেখেছে। আহতদের চিকিৎসার ক্ষতিপূরণ এবং ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে বাসগুলো জিম্মি করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।
পরে পুলিশ-শিক্ষার্থী ও পরিবহনটির প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা ৪টি বাস ছেড়ে দিলেও একটি বাস আটক করে রাখে।
উক্ত ঘটনায় বুধবার বিকাল ৫ টায় আশুলিয়া থানায় মালিক পক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিবেন বলে জানান। ওই আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ৪টি বাস ছেড়ে দিয়ে ১টি বাস আটক করে রাখে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল এবং হাইওয়ে পুলিশ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা, ০৪ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: