Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
দুই ছাত্রীর অভিযোগ নিয়ে...

মুখোমুখি অবস্থানে বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক নেতা

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৩, ০০:১৩

মুখোমুখি অবস্থানে বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক নেতা

বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই ছাত্রীকে ঘিরে দুই শিক্ষকের দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সুমাইয়া আফনান নাহিন নামের এক মেয়ের মার্ক টেম্পারিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে লিখিতভাবে প্রতিবাদলিপি দেয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী।

অপরদিকে সোমবার সুমাইয়া আফনান নাহিন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবু সালেহ'র বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিং এর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। এ অভিযোগে ড. সালেহ'র বিরুদ্ধে ফাতেমা নামক এক ছাত্রীকে সুবিধা দেয়ার কথা উল্লেখ আছে।

এছাড়া একটি লিখিত অভিযোগে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ট্রল ও সাইবার বুলিংয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কে. এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে উপাচার্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে আমরা তথ্য প্রকাশ করি। এটি আমাদের দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিষয়ে আমরা বরাবরের ন্যায় নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে সচেষ্ট আছি।

এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের মধ্যে দফায় দফায় মিটিং হয়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অভিযুক্ত একই বিভাগের এই দুই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম শিক্ষক নেতা। ড. মোঃ হাসিবুর রহমান শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি। অন্যদিকে ড. মোঃ আবু সালেহ শিক্ষক সমিতির পরপর দুইবার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক মিটিং হলেও সমস্যার সমাধান হয় নি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবু সালেহ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, নাহিনকে এ প্লাস দিতে আমাকে বারবার চাপপ্রয়োগ করেছেন ড. হাসিব। তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে, তাদেরকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে, টাকা অফার করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত করলেই সব রহস্য বের হয়ে আসবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাসিবুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ডাহা মিথ্যা কথা। নিজের মতো করে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

ঢাকা, ০৯ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ