ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে হামলার শিকার হয়েছেন আরেক শিক্ষার্থী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত শিক্ষার্থীর নাম যোবায়ের ইবনে হুমায়ূন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
মারধরের বর্ণনা দিচ্ছিলেন মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী যোবায়ের ইবনে হুমায়ূন। যোবায়ের বলেন, ‘ফিল্মি কায়দায় পেটানো হয় আমাকে।’
তিনি বলেন, সন্ধায় আমাকে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হয় যে তুই কই আছিস বল। তখন আমি বললাম জিয়া হলের দিকে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ জন ছেলেপেলে এসে আমাকে বেদম প্রহার করতে থাকে। উপর্যপুরি কিল ঘুষি, ইট- পাথর হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়ে আঘাত করেছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার (২৫ মার্চ) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান উপস্থিত লোকজন।
জোবায়ের আরও বলেন, মারধরের নেতৃত্বে দেন তবারক, সাহিল ও অর্ণব নামের তিন শিক্ষার্থী। তবারক মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ও শান্তি সংঘর্ষ বিভাগের, অর্ণব মুহসীন হল ও সাইকোলজি বিভাগের, এবং সিফরাত সাহিল টুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। সাদ নামের আরো একজন অভিযুক্তের নামও উল্লেখ করেন যুবাইর।
তিনি বলেন, পূর্বে অর্ণবের সাথে কিছুদিন ধরেই ঝামেলা একটা সমস্যা চলছিলো। এ ঝামেলার জেরেই আমাকে মারধর করা হলো।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থীকে দশ পনের জনের একটি দল মারধর করতে থাকেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থী মারধর থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত করে মারধরকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ক্যাম্পসলাইভকে বলেন, আমি এ বিষয়ে এখন জানলাম। মেডিকেলে আমার টিম পাঠিয়েছি।
ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এসএন//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: