জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমসহ বিগত চার উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরিচ্যুত এক অধ্যাপক। এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর জমা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেল চারটায় এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অভিযোগকারী শিক্ষক আলী আকন্দ মামুন।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী আকন্দ মামুন জানান, গত এক নভেম্বর দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর ছয় পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল বায়েসসহ বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণাদি সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত চারজন উপাচার্যের আমলে নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি জালিয়াতি, প্রশ্ন ফাঁস, যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি এবং পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ১৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হয়। আর বর্তমান উপাচার্য ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেলেও তা করেননি।
নিজের অব্যাহতির ব্যাপারে তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায়, আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০০৯ সালের ঘটনা, এই মুহূর্তে আমি মনে করতে পারছি না।’ এ ছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আকন্দ মামুনকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা, ০৫ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআর//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: