ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ছেন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম নাজমুল ওরফে জিম। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম সোহানের অনুসারি বলেও ক্যাম্পাসে পরিচিত জিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণী দুই জন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছবি তুলছিলেন তারা। এসময় হঠাৎ নাজমুল এবং তার এক বন্ধু ওই তরুণী এবং তার বন্ধুদের এতো রাতে ক্যাম্পাসে আসার কারণ জানতে চায়। তারা ছবি তুলছেন জানালে তাদের আরও নানা প্রশ্ন করতে থাকেন তারা। এর এক পর্যায়ে জিম অশালীন সম্বোধন ও গালিগালাজ করলে ওই তরুণী জিমকে প্রথমে একটি থাপ্পড় মারেন। এতে রেগে গিয়ে জিমও ওই তরুণীকে পরপর তিনটি থাপ্পড় মারেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিম জানান, রাতের খাবার ওই পথ দিয়ে ফিরছিলাম। এসময় দেখতে পাই ওই তরুণ-তরুণীরা রাজু ভাষ্কর্যে ঘুমিয়ে থাকা ভাসমান মানুষের ছবি তুলছে। পরে আমি গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করি, ‘ছবি তোলার আগে অনুমতি নিয়েছে কিনা?’ এটা জিজ্ঞেস করলে ওই তরুণী ক্যাম্পাস কিনে নেওয়ার কথা বলে। বিভিন্ন কথ বলে উস্কানি দেয়। এমনকি আমার গায়ে হাত দেয়। তখন অন্যরা গিয়ে আমাকে থামিয়ে দেয়।
এদিকে, ঘটনার সময় সেখানে আবুল বাসার নামে একজন এসে জিমের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে তিনি বেতন তুলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় নাজমুল তাকে একা পেয়ে মারধর করে। এসময় তার কাছে থাকা ফোন, ম্যানিব্যাগ এবং হেডফোন কেড়ে নেয়। পরে ফোন ফিরিয়ে দিলেও সব টাকা নাজমুল নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী বাসার ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরের একটি দোকানের কর্মচারী বলে জানা গেছে। তবে, এই অভিযোগকে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে জানিয়েছেন জিম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, একজন তরুণী আমাদের সাথে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে কথা বলেছেন। তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে সুর্যসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম সোহানের নম্বরে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা, ০১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: