Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জবির ছাত্রী হলে ধীরগতির ইন্টারনেট, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বার ২০২২, ২৩:১৭

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল

রিদুয়ান ইসলাম, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল' এ ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ধীরগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থার কারণে ছাত্রীহলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন উন্নত ইন্টারনেট সেবার বাইরে। এতে হলের ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছেন ছাত্রীরা। হল প্রতিষ্ঠার তিন বছর হতে চললেও ওয়াইফাই ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে ২০১২ সালে পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই (ইন্টারনেট) সংযোগের আওতায় নিয়ে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু সংযোগ দেওয়ার ১০ বছর পরও সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে ২০১৮ সালে নতুন করে বিডিরেন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেয় জবি প্রশাসন। সেসময় পুরো ক্যাম্পাসকে শক্তিশালী ইন্টারনেট ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করে ৭০০ এমবিপিএস গতির ওয়াইফাই চালু করা হয়। কিন্তু হলে আলাদা সার্ভার না বসিয়ে ক্যাম্পাসের ওয়াইফাই দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সাশ্রয়ে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস নিতে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রশাসন। কিন্তু একমাত্র আবাসিক ছাত্রীহলের ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি না করায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের নিজ নিজ মোবাইল ডাটার উপর নির্ভর হতে হচ্ছে।

হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, হলের ইন্টারনেট গতি ধীর হওয়ায় প্রায়ই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকতে অতিরিক্ত সময় লেগে যায়। ছোটোখাটো ফাইল ডাউনলোডেও অনেক সময় লাগে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা যেন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হলের এক আবাসিক ছাত্রী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা অনলাইন ভিত্তিক হলেও সে অনুযায়ী আমরা ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছিনা। কোনো শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে গেলে বা জার্নাল পড়তে গেলে ধীরগতির ইন্টারনেটের কারনে সেটা অন হতে অনেক সময় লেগে যায়৷ আমাদের হলে নামমাত্র ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু আছে। এমন ধীরগতির ইন্টারনেটে বরং ভোগান্তিই বেশি হয়।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে ফিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, প্রথম দিকে ওয়াইফাই কাজ করলেও এখন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার পরও আমরা ঠিকঠাক নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে বেশ অনেকদিন আগে। কিন্তু আমাদের ওয়াইফাই সংযোগ থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট কিনে ক্লাস করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

হলের আরেক আবাসিক ছাত্রী শারমিন ইভা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা পড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের চরম অভাববোধ করি। আমাদের পড়াশোনার বেশিরভাগই অনলাইনের সাথে সম্পর্কিত। তাই উন্নত ইন্টারনেট সংযোগসহ ওয়াই-ফাই এর স্পিড বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "বিডি রেনের সঙ্গে আমাদের চুক্তির দীর্ঘদিন হওয়ার কারণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন হার্ডওয়্যার এসব জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে এখন স্বাভাবিকের তুলনায় কম স্পীড পাওয়া যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আবার নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হলে এসব জিনিস চেঞ্জ করে দিবে। তাহলে আশা করি সমস্যাগুলো সমাধান হবে।"

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ