ঢাবি লাইভ: বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে সীমানা লঙ্ঘন ও হামলাসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে শক্ত জবাব না দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিয়ানমার দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ করা হবে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় সার্বিকভাবে ব্যর্থ কূটনীতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ দাবি করেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা অন্যান্য বক্তারা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আয়োজনে করা সমাবেশে ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের আকাশ সীমানায় মিয়ানমার হেলিকপ্টার অসতর্কতাবশত আসেনি, বরং তারা বোঝাতে চায়, আমরা তোমাদের কেয়ার করি না। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেই। দেশের ওপর হামলা হলে সবাইকে এক হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। দেশের ওপর হামলা হলে যদি কোনো দলে আঘাত না লাগে, প্রতিবাদ না করেন, তাহলে বুঝবো আপনাদের রাজনীতি কোনো দেশপ্রেমের রাজনীতি না। আপনাদের রাজনীতি গদি বাঁচিয়ে রাখার রাজনীতি।
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের গোলা বাংলার জমিনে পড়লেও সরকার শক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু আমরা আমাদের কোনো ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলে সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে আমাদেরকে দমন করে।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যদি আমরা শক্ত অবস্থান রাখতে পারতাম তাহলে মিয়ানমার এত কিছু করার সাহস দেখাতে পারতো না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার এখনো মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি। মিয়ানমারকে সমুচিত শিক্ষা দিতে হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সরকার একটি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চালু রেখেছে যা আমাদেরকে ভারতের চাকর বানিয়ে রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ভারতে অনুরোধ করেছি তারা যেন আওয়ামী সরকারকে টিকিয়ে রাখে এমন কথার মন্তব্যে তরিকুল বলেন, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এমন কথা বলেন, তখন আর সার্বভৌমত্ব থাকে কোথায়?
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: