Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
নবীন শিক্ষার্থীকে নিজেদের গ্রুপে উঠানো নিয়ে...

ঢাবির মুহসীন হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০৪:৪৭

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে নবীন শিক্ষার্থীকে নিজেদের গ্রুপে উঠানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটিকাটি শুরু হয়। পরে এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারমুখী অবস্থান নিতে দেখা যায়। শিশির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। অপরদিকে, হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী ওই হলে উঠতে আসে। পরে সাধারণ সম্পাদক হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার সাথে কথা বলে রাখে। এদিকে সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই নবীন শিক্ষার্থীকে হলে থাকতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাদের গ্রুপে উঠায়। এরই জের ধরে দুই গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরজবরদস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়।

এরপর হাতাহাতি সিনিয়রদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্স পড়ুয়া এক ছাত্রলীগকর্মীর শার্টের কলার ধরে। এতে সেক্রেটারি গ্রুপের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পরিবেশ আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এদিকে, হাতাহাতির সময় তা ভিডিও রেকর্ড করতে গেলে মুহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা আইনুল ইসলাম মাহবুব এক শিক্ষার্থীর উপর চড়াও হন। ওই শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় মেরে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ সম্পর্কে জানতে হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশিরকে ও ঘটনার ভিডিও ধারণ করা শিক্ষার্থীকে মারধরকারী অভিযুক্ত মাহবুবকে ফোনে কল করা হলেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এরকম কোন কিছুই ঘটেনি। এরকম কিছু ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম।

এই বিষয়ে কথা বলতে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি মিটিং এ আছেন বলে জানান।

ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ