জাবি লাইভ: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার গৌড়ীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মিনহাজুল আবেদীন আল-আমিন। তিনি চলতি শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় সামাজবিজ্ঞান অনুষদে ১০তম মেধাস্থান নিয়ে ভর্তির সুযোগ পান।
এ কারণে ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গবার) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তির জন্য ভাইভা দিতে আসেন। কিন্তু এ সময় তার লেখা ও সই মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। আটকের পরই বেরিয়ে আসে ৩ লাখ টাকা চুক্তিতে তার চান্স পাওয়ার গোপন রহস্য।
নিরাপত্তা শাখার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে চান্স পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্র শাহিনুর নামের আমার এক মামা প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর বিনিময়ে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা কে দিয়েছে সেটা জানি না। বারবার হাতের লেখা চর্চার পর ভাইভায় অংশ নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও জানান, 'আল হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। মানবিক বিভাগ থেকে উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।'
এদিকে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহিন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘তার হাতের লেখায় মিল না থাকায় আইন অনুষদের সভাপতি তাকে আটক করেন এবং নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করেন। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করলেও পরবর্তী সময়ে অন্যের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাকে নিয়মিত মামলায় আশুলিয়া থানায় পাঠানো হবে।
ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআর//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: