Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পোস্ট লেখার খেশারত

মহসিন হল: মুখে তালা, কানে তুলা: ছাত্রলীগের তোপে হল ছাড়লেন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০২২, ০৬:৫৯

মহসিন হল: মুখে তালা, কানে তুলা: ছাত্রলীগের তোপে হল ছাড়লেন শিক্ষার্থী

ঢাবি লাইভ: মুখে তালা কানে তুলা দিয়েই থাকতে হবে। নইলে ছাড়তে হবে হল। এমন দাবী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফেসবুকে মজা করে পোস্ট দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে গালমন্দ ও শাস্তি হিসেবে টিনশেডে পাঠান ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা জানিয়েছে মুখে তালা দিয়েই হলে থাকতে হবে। পরে দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী সাকিব মিয়া হল থেকে চলে যান। এই ঘটনাটি গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান সমালোচনার ঝড় বইছে।

ওই শিক্ষার্থী রাগে ক্ষোভে ও কস্টে নানান কথাই বললেন। কাজী সাকিব মিয়া বলেন, আমি ৬ আগস্ট ফেসবুকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে স্যাটায়ার পোস্ট দিই। টাইমলাইন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এটি দিয়েছিলাম। এতে হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আবু হাসান রনি ফোন করে আমাকে তুইতোকারি করেন এবং হলে গেলে কেন লিখেছি জানতে চান। নানান কথা বলেন।

এরপর বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মশিউর রহমান শান্ত এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ এবং পোস্টটি ডিলিট করতে বাধ্য করেন। তারপর ১৫ আগস্ট রাত ১১টার দিকে আমাকে ডেকে তাঁরা বলেন- তুই লেখালেখি করবি নাকি হলে থাকবি? আমি হলে থাকার কথা বললে শাস্তি হিসেবে টিনশেডে পাঠানোর কথা বলেন।

তখন আমি বলি, আমি লেখালেখিই করব। হল ছেড়ে দেব। পরে হল ছেড়ে দিই। হল প্রাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ও হাউস টিউটররা কাজী সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি। আমি খোঁজ নিয়েছি। ওই ছাত্রকে কেউ বের করে দেয়নি। ছাত্রটি যে কক্ষে থাকত, সেই কক্ষের বাকি তিনজনের সঙ্গে আড়াই বছর তার কোনো কথা হয় না। সে খুব অশালীন আচরণ করত।

তাকে অন্য কক্ষ দেওয়া হলে কাউকে না জানিয়ে চলে যায়। পরে প্রাধ্যক্ষের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী সাকিব বলেন, আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। স্যাররা তাঁদের কাছ থেকে যা শুনেছেন, তাই বলেছেন।

অশালীন আচরণের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি আরও বলেন, লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হয় না। এ জন্য আমিও দিইনি। এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও মশিউর রহমান শান্তকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। হলের অন্যরা বলেছেন বিষয়টি দু:খজনক। ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা একজন নয় অনেকের সাথে আজেবাজে আচরণ করেন। গালমন্দ তো মামুলি ব্যাপার। এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানুষই মনে করে না।


ঢাকা, ২৬ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ