ঢাবি লাইভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম’ ও ‘জঙ্গিবাদে’ জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করেন হল প্রাধ্যক্ষ। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।সেই মারুফকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী (স্যাট) প্লাটফর্মের প্রতিনিধিরা। এই ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, পথে তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও তথ্য মিলেছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তারা আরো জানান, আহতরা হলেন- আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সালেহ উদ্দিন শিফাত (২২) ও উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. আহনাফ (২৪)। সালেহ উদ্দিন শিফাত কবি জসীম উদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।
পুলিশ আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে ওই পুলিশ কমকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, পুলিশে হস্তান্তর করার পর হল মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত সাংবাদিকদের সেসময় বলেন, ‘আমরা মারুফের কাছ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ও জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাই। এজন্য তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশে হস্তান্তর করেছি। এখন তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’
তবে শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীকে (মিফতাহুল মারুফ) যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশে দেওয়া হয়, তদন্ত করে এ ধরনের কোনো অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। তার পরিবার ও তার কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সব কিছু দেখে শুনেই ছেড়ে দিয়েছি। অহেতুক কাউকে আটকিয়ে নির্যাতন করার পক্ষে পুলিশ নেই।
ঢাকা, ১৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: