বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, মানবিকী অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি মোছাঃ সানজীদা পারভীন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সংগ্রাম ও রাজনীতিতে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
মানবিকী অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে বঙ্গমাতার নাম জড়িয়ে আছে, তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সাধারণ সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা।
আইন অনুষদের ডিন ও প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান বলেন, বাঙ্গালি জাতি গঠনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নাম থাকবে।
ইতিহাস বিভাগের সভাপতি মোছাঃ সানজীদা পারভীন বলেন, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনে রেণুর অবদান ছিল অপরিসীম।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, বঙ্গবন্ধুর শক্তি ও অনুপ্রেরণার নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন অনন্য সাধারণ একজন মহিয়সী নারী। তাঁকে নিয়ে অনেক গবেষণা করা যায়। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার আদর্শকে বুকে ধারণ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বেলা ১১টায় হল প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ, সন্ধ্যা ৭.০০টায় কেক কাটা, সন্ধ্যা ৭.১৫টায় আলোচনা সভা, উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
ঢাকা, ০৮ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএএইচ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: