জবি লাইভ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে মদ্যপানের প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছেলে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ঐ ছেলের নাম মেহেদী হাসান মুন। তিনি জবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলেও জানা যায়। মুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের এবং ওই নারী শিক্ষার্থী নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
বুধবার (৩ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ওই নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ পত্র জমা দেয়। এই অভিযোগ পত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এসময় এ ছাত্রীর দুই সহপাঠীও নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ পত্র জমা দেয়।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, মেহেদী হাসান মুন ওই নারী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল। মুন এ ছাত্রীকে মদ পান করার প্রস্তাবও দেয় বলে অভিযোগ পত্রে বলা হয়।
এছাড়া নৃবিজ্ঞানের এ ছাত্রীর দুই নারী সহপাঠী উক্ত অভিযোগ পত্র জমা দেওয়ার স্বাক্ষী হওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে তাঁরাও অভিযোগ পত্র জমা দেয় প্রক্টর বরাবর।
এদিকে মুনও প্রক্টর অফিসে একটি অভিযোগ জমা দেয়। সেখানে সে জানায়, বুধবার সকালে তাঁকে ক্যাম্পাসের জুনিয়র মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ এনে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ ব্যাচের নওশের বিন আলম ডেভিড, গণিত বিভাগের ১৩ ব্যাচের জাহিদুল ইসলাম হাসান ও ১৪ ব্যাচের মাহথির আনান আলিফ। এমন অভিযোগ সে অস্বীকার করে এবং প্রমাণস্বরূপ সব প্রদর্শন করে। প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায়, এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করার জন্য।
অভিযোগের বিষয়ে মুন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমাকে ওই তিন মেয়ে ম্যাসেঞ্জারে নক দিত। আমি ক্যাম্পাসে গেলে আমাকে দেখলেই তাঁরা নানা ভঙ্গি করে স্লেজিং করত। কিন্তু আমি আজ মারধরের শিকার হয়ে যখন প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিতে চাই তখন দেখি ওই মেয়েরাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।
এদিকে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে ওই নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে আবারও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে মেহেদী হাসান মুনসহ তাঁর বন্ধুরা এবং সকালে মুনের ওপর হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আজকের অভিযোগ পত্র গুলোর বিষয়ে তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।'
ঢাকা, ০৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআই//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: