Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

হল ছাড়েনি আজীবন বহিস্কৃত জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ২৩:১৩

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি

আতিকুর রহমান, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতির দায়ে আজীবন বহিষ্কৃত হয়েও আবাসিক হলে অবস্থান করছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক সভাপতি মিখা পিরেগু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের বিগত কমিটির সভাপতি ছিলেন।

গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিস্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশেষ পরিক্ষার অনুমতির আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতি সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিস্থার করা হলো।’

হলে থাকার বিষয়টি মিখা পিরেগু স্বীকার করে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আজীবন বহিষ্কারের বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদন করেছি। আবেদনের বিষয়ে এখনও জবাব পাইনি, তাই হলে থাকছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০১, ৪১২ ও ৪১৩ নম্বর কক্ষ তিনটি ছাত্র ইউনিয়রের ‘কক্ষ’ হিসেবে পরিচিত। মিখা পিরেগু হলের ৪১২ নম্বর রুমে নিয়মিত অবস্থান করছেন। চার সিটের এই রুমে বাকী তিন জন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন।

বাকী তিন জন হলেন সহ-সভাপতি রিফাত খান অনিক, সাংগঠনিক সম্পাদক অমর্ত্য রায় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত।

ছাত্র ইউনিয়নের পদে থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বহিস্কৃত একজন ছাত্রকে দীর্ঘদিন ‘আশ্রয়’ দেওয়ার বিষয়ে জানতে রুমের বাকী তিনজনের সাথে যোগাযোগ করা হয়।

কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘সে নিয়মিত ঢাকায় থাকতো। মাঝে মাঝে হলে আসতো। তার পারিবারিক সমস্যার কারণে গত দেড় মাস ধরে হলে নিয়মিত থাকছে।’

বহিস্কৃত একজন আপনার রুমে অবস্থান করছে কিন্তু সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও আপনি কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

সহ-সভাপতি রিফাত খান অনিক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘তিনি আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পুন:বিবেচনার বিষয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছেন তাই সেই সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত তিনি হলে থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই আর এই বিষয়ে আমরা কোন ব্যবস্থা নেইনি।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আমি ভাইয়ের বহিস্কারের বিষয়টি জানতাম না।’

তবে বহিষ্কার হওয়ার পর কেউ হলে অবস্থান করতে পারবে না বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘কেউ সাময়িক বহিষ্কার হলেও হলে থাকার অধিকার নাই সেক্ষেত্রে আজীবন বহিষ্কার হলে কোনভাবেই হলে থাকার সুযোগ নেই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘কেউ সাধারণ শিক্ষার্থী হোক বা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী হোক আজীবন বহিষ্কার হয়ে কেউ কোন ভাবেই হলে অবস্থান করতে পারেনা। এটি একটি নৈতিকতা বিরোধী কাজ। আমরা হল প্রশাসনকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহনের অনুরোধ করছি।'

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নবনিযুক্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আমি হলের দায়িত্ব গ্রহন করেছি মাত্র কয়েকদিন আগে। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলামনা। এখন জানতে পারলাম। একটু খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে আমি নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

ঢাকা, ৩০ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ