Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিন্দা

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ০৪:৫৩

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিন্দা

জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সিনেট সভায় অবমাননাকর মন্তব্য করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

'মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম' এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রেরিত বিবৃতিতে নিন্দা জানায় ছাত্র সংগঠনটি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকদের বয়স সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সুবিধা বাতিল করা নিয়ে সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের -কে লুটতরাজকারী ও নারী নিপীড়নকারী বলে অশালীন মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের -কে প্রকাশ্যে অবমাননা করার মাধ্যমে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের-কে চরম ভাবে অবমাননা ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন যা অতি ঘৃণিত অপরাধ।'

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন অশালীন মন্তব্য ও কটুক্তি করার অপরাধে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার -কে অতিদ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।'

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ' অধ্যাপক অজিতের অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল জাব্বার হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'অধ্যাপক অজিত সিনেট অধিবেশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লুটতরাজকারী’ ও নারী নিপীড়নকারী’ বলে আখ্যায়িত করেছে।'

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, 'সিনেট অধিবেশনে অধিকাংশ সম্মানিত সিনেট সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক অধ্যাপক ড. আমির হোসেনের অবসরের বয়স প্রদত্ত ৬৬ বছর রাখার পক্ষে মত দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। যুক্তি উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে তিনি ঢালাওভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের লুটতরাজকারী’ ও নারী নিপীড়নকারী বলে আখ্যায়িত করেন। দেশের গর্বের সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যাক্কারজনকভাবে অসম্মানিত করায় আমরা ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ। আমরা মনে করি অধ্যাপক অজিতের এই ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।'

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, 'মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. নূরুল আলম মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা হরণে সিনেটে এজেন্ডা এনে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য কাজ করেছেন। অধ্যাপক অজিত বক্তব্য দানকালে তিনি নিরব থেকে এধরনের বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানে উৎসাহিত করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমূল্যায়ণ করেছেন।'

ঢাকা, ২৯ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআর//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ