Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

লাইব্রেরিতে টাকা চুরি; চেপে যাওয়ার চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের!

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২২, ০৭:২১

ফাইল ছবি

বশেমুরবিপ্রবি লাইভ: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) লাইব্রেরি ভবন থেকে গত ২০২০ সালে ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এখনো এ চুরির ঘটনায় দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত হয় নি।

এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবন "একুশে লাইব্রেরি" এর গ্রন্থাগারিকের কক্ষ থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খোয়া যাওয়া টাকা আবার জানাজানি হলে যথাস্থানে ফেরতও রেখে যাওয়া হয়েছে। টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় লাইব্রেরিতে কর্মরত আবু সাইদকে সন্দেহ গ্রন্থাগারিকের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি জানতাম ৭ হাজার টাকা হারায় গেছে লাইব্রেরিয়ানের অফিস থেকে। এরপর একদিন সাঈদ ভাই ডেকে বলে যে আমাদের হয়রানি করা হলো, এখন টাকা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে লাইব্রেরিয়ান স্যার আমাকে ডেকে বলেন যে তার সন্দেহ সাঈদকে হয়। এরপর তিনি বিষয়টি আর কাউকে না বলে চেপে যেতে বলেন।

পরবর্তীতে কেন প্রশাসনকে জানালেন না এমন প্রশ্নে গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, এটা লাইব্রেরিয়ান স্যারের বিষয়।

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাছিরুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বিষয়টা আমি গোপন রাখতে চাই। সাঈদের পরিবার আছে। ওর চাকরিতে সমস্যা করে কি লাভ। ওকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। ওকে সুযোগ দেয়া প্রয়োজন।

আবু সাঈদকে সন্দেহের কারণ জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাছিরুল ইসলাম বলেন, আমার কক্ষে শুধু আমরা দুই জনই থাকি।এছাড়া আমি জেনেছি সাঈদের এমন টাকা নেয়ার ঘটনা এটাই প্রথম না।এর আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও বঙ্গবন্ধু ইন্সটিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ থেকেও তার বিরুদ্ধে টাকা চুরি ও ফেরত দেয়ার অভিযোগ উঠে।

এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ হাসিবুর রহমান বলেন, আমি যখন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলাম, সে সময় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সে আড়াই লক্ষ টাকা তুলে নেয় এবং পরবর্তীতে জানাজানি হলে তা ফেরতও দেয়।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাকে অফিসিয়ালভাবে না জানানো হলেও বিষয়টি আমি শুনেছি।

লাইব্রেরিতে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে সন্দেহভাজন কর্মচারী আবু সাঈদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বারবার ফোন কেটে দেন।

ঢাকা, ১৯ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ