জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভোক্তা অধিকার বিষয়ক জনসচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৪ মে ) সকালে জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের সঞ্চালনায় এ সেমিনার শুরু হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ পণ্য ক্রয়ের পর দ্রব্যটি ক্রেতার ভালো না লাগলে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি তা ফেরত দিতে পারেন। ক্রেতা চাইলে দ্রব্য ক্রয়ের পুরো অর্থও ফেরত পান। একজন ভোক্তা হিসেবে এটি অনেক বড় পাওয়া। আমাদের দেশে এ বিষয়টি এখনো পুরোপুরি প্রচলন পায়নি। আমাদের দেশে বিক্রেতারা ভাবেন দ্রব্য বিক্রি করতে পারলাম মানে বেঁচে গেলাম।
সেমিনারের প্রধান আলোচক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার মতো কোনো অদৃশ্যের হাত নেই। তবে কিছু ব্যবসায়ীর সাম্প্রতিক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
সভাপতির বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষরণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, দ্রব্য কেনাকাটার ব্যাপারে ভোক্তারা আগের তুলনায় অনেক সচেতন হয়েছেন। অধিদপ্তর থেকে তাদের আরও সচেতন করার জন্য আমাদের প্রচারণা চালু রয়েছে। যুদ্ধের মাধ্যমে রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন হলেও সমাজ বিপ্লব একদিনে হয় না। স্তরে স্তরে তার পরিবর্তন দরকার
সেমিনারে আরও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনীসহ প্রমুখ।
এছাড়াও সেমিনারে আলোচনার পাশাপাশি কুইজ সেগমেন্ট, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআর//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: