Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

প্রকাশিত সংবাদের যে ব্যাখ্যা দিলেন ঢাবি শিক্ষক

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২, ২২:২৩

প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউল করিম

ঢাবি লাইভ: ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিসির কাছে নানান অভিযোগ! শিরোনামে ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম-এ প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউল করিম। তিনি সঠিক প্রমাণাদিসহ ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, "আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রার্থীদের তালিকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন।

প্রথমতঃ আমার দৃষ্টিতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রার্থীদের নামের তালিকা নেয়া দোষের কিছু নয়।

দ্বিতীয়তঃ নির্ধারিত সময়ের পর যাতে অন্য কারও দরখাস্ত দুর্নীতির মাধ্যমে লিষ্টভুক্ত করতে না পারে সেজন্যই আমি শুধুমাত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমাকৃত নিয়োগ প্রার্থীদের তালিকা নিয়ে নেই। এতে কোন দুর্নীতির প্রশ্নই আসে না বরং বিভাগীয় বর্তমান চেয়ারম্যানের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে যে, নিয়োগ প্রার্থীদের তালিকা নেওয়ার কারণে তার দুর্নীতির পথ আপাতত বন্ধ। তাই তিনি আমার উপর এমন ক্ষেপেছেন। আমি একাডেমিক কমিটির সভায় বারবার বলেছি- আমার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে লিখা হোক। তা তিনি করবেন না। কারণ এতে করে তার থলের বিড়াল বের হয়ে যাবে। ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম- এ প্রকাশিত বর্তমান চেয়ারম্যানের চিঠিতে আমার বিরুদ্ধে পূর্বের চেয়ারম্যানের আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত স্বচ্ছতার প্রশ্ন আনা হয়েছে। তখনও আমার কোন অস্বচ্ছতা ছিলো না।

অস্বচ্ছতা থাকলে দ্বিতীয়বার আমাকে নিয়োগ বোর্ডে রাখা হতো না। দ্বিতীয়বার নিয়োগ বোর্ডে আমাকে রাখার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিনই বিভাগীয় সিএন্ডডি সভায় প্রস্তাব করেছিলেন। আমার এলাকার কোন ব্যক্তি নিয়োগ প্রার্থী ছিল, তা আমার জানা নেই। আর এ রকম কোন প্রার্থী থাকলেই কি সেটা নিয়ম বর্হিভূত? একজন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষায় নস্বর যোগ না হওয়ার যে কথা

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম-এ বলা হয়েছে সেই সমস্যা হয়েছিল পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানমের ভুলের কারণে, আমার ভুলের কারণে নয়।

কয়েক বছর পূর্বে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুধুমাত্র অশোভন মন্তব্যের কারণে যে শিক্ষার্থীদেরকে বহিস্কারের কথা বলা হয়েছে তাও সত্য নয়। সত্য হলো কয়েক বছর আগে কিছু শিক্ষার্থীকে নকল করতে বাধা দেওয়ায় তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে হুমুক দিয়েছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর সত্যতা যাচাই করে তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল। এর দায়ভার আমার নয়। তখন কিছু শিক্ষক তাদেরকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দিয়েছিল এবং মিথ্যা। এখন শিক্ষার্থী তাদের ভুল বুঝতে পেয়ে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কেউ কেউ আমার অর্ধীনে প্রজেক্ট এর কাজ করছে।

আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিসির কাছে নানান অভিযোগ!

জনাব মোহাম্মদ সোহেল রানা সম্পর্কে আমার যে মন্তব্যের কথা লিখা হয়েছে তাও মিথ্যা ও বানোয়াট। এগুলো নিয়ে তারা আগেও মিথ্যা নিউজ করিয়েছে। তার আচরণ ও দাম্ভিকতা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবারই জানা। কয়েক বছর পূর্বে আমাকে যে কারণ দেখিয়ে ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি বর্হিভুত এবং প্রতিহিংসা পরায়ন যা সেই সময়ই মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে বিচার চেয়ে মামলা করা প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। মামলা করার ফলে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়নি। আমি দুর্নীতির বিচার করে সুনাম রক্ষা করতে চেয়েছি। সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ কামাল উদ্দিনের কয়েক বছর পূর্বে ৩ বার ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে তা আদালত পর্যন্ত গড়ার কারণে। সে সময়ের সকল ঘটনা সবারই জানা।

এখনও সার্চ দিলে বিভিন্ন নিউজে পাওয়া যাবে। একাডেমিক কমিটি সভার রেজুলেশন এবং তার ভিত্তিতে লিখিত চিঠি হলো গোপন নথি। সেইসব চিঠি ও রেজুলেশন পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়া দেখেই বুঝা যায় আচরণগত সমস্যা কার। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনের এইসব চিঠি ও রেজুলেশনের কোন ভিত্তি নেই। এগুলো লিখা হয়েছে সভার বাহিরে তার নেতেৃত্বে কয়েকজন কুরুচিপূর্ণ ও উগ্র শিক্ষক কর্তৃক।

সংযুক্তি-৩ থেকে দেখা যায় যে, একাডেমিক কমিটির সভায় হস্তলিখিত রেজুলেশনে আমার সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তই হয়নি। অথচ ক্যাম্পাসলাইভ২৪ এ তার বানোয়াট চিঠি ছেপে দিল। ইতোমধ্যে তিনি তার সিদ্ধান্ত আবারও পরিবর্তন করেছেন। এতে বুঝা যায় সবই একাডেমিক কমিটির সভার বাইরে লিখা সিদ্ধান্ত ও তার ভিত্তিতে লেখা মিথ্যা চিঠি। চেয়ারম্যানের হাতে কলম। তিনি দুর্নীতির শাস্তি পাচ্ছেন না বলেই যাচ্ছে তাই লিখে পত্রিকায় ছেপে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বিভাগীয় কয়েকজন সহকর্মী প্রমাণপত্রসহ একটি চিঠি ১৭/০৫/২০২২ ইং তারিখে মাননীয় উপ-উপাচার্য, শিক্ষা এর জমা দিয়েছেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক চিঠি লিখে নিয়োগ কমিটি পুনগঠন করেছিলেন যেটা আদালতে স্থগিত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় তিনি নিজেই দুর্নীতি করার জন্য এটা করেছেন।

গত ১৬/০৫/২০২২ ইং তারিখে একাডেমিক কমিটির সভায় উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ তার সেই চিঠির কপি দেখতে চাইলে তিনি দেখান নি। এতে প্রমানিত হয় তিনি দুর্নীতির জন্যই এসব করেছেন এবং তা বন্ধ হয়েছে বলেই আমার উপর চটেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই সব বেড়িয়ে আসবে। আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগই মিথ্যা, বানোয়াট এবং মিটিং এর বাহিরে লিখা। উনি নিজে অসৎ বলেই প্রশাসনের মনোযোগ ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য এসব আবল-তাবল বলছেন।


ঢাকা, ২১ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএম//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ