Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ৭০ হাজার টাকা আদায়

জবির ছাত্রীহলের তালা ফ্রি, চাবির দাম ৮০০ টাকা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ০৯:১৩

তালা ফ্রিতে দেওয়া হলেও চাবি বাবদ ৮০০ টাকা নিচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ


জবি লাইভ: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রতি রুমের তালা ফ্রিতে দেওয়া হলেও চাবি বাবদ ৮০০ টাকা নিচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ। অথচ চাবির দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৮টি চাবির একই তালা মাত্র ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুতারং তালা-চাবি বাবদ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি টাকা নিচ্ছে হল প্রশাসন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাত্র ১৬ তলাবিশিষ্ট এ হলটিতে ১৫৬টি কক্ষ রয়েছে। প্রতি রুমে ৮ জন করে শিক্ষার্থী থাকেন। প্রতি রুমে একটি করে তালা 'ফ্রি' দেয়া হলেও রুমের ৮ জনের চাবির জন্য হল কর্তৃপক্ষকে ৮০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অর্থাৎ একটি তালা-চাবির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আলিফ প্রিমিয়ারের এই তালাটি ৮ চাবিসহ বাজারে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রায়সাহেব বাজার মোড়ে লাকি স্ক্রু ও পাশবর্তী দোকানগুলোতে ৮টি চাবিসহ একই তালা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং ১২টি চাবিসহ একই কোম্পানির তালার দাম ৪২০ টাকা। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দীগুণের চেয়েও ১০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছেন হল কর্তৃপক্ষ। অতএব তালা-চাবির নাম করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি টাকা আদায় করছে হল প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীসহ হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী।

হলের অন্তত চারজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, 'তালা ফ্রি বলে প্রত্যেকের থেকে চাবির দাম নিচ্ছে ১০০ টাকা করে। ৮ জনের রুমের তালার দাম পড়ছে ৮০০ টাকা। অথচ আমরা এ টাকা দিয়ে দুইটি তালা কিনতে পারতাম। এখানেও প্রশাসন ইনকাম করছে।
৮০০ টাকা নিয়ে তালা ফ্রি বলা হাস্যকর ব্যাপার। শিক্ষার্থীদের ভর্তুকি দেওয়ার বদলে তালা-চাবির ব্যবসা করছে হল কর্তৃপক্ষ।

হলের আবাসিক ছাত্রী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফ্রিন বলেন, 'তালা-চাবির দাম তো এতো টাকা না। হল কর্তৃপক্ষ বলছে তালা ফ্রি। তবে চাবি বাবদ রুমের ৮ জনের কাছে ৮০০ টাকা নিচ্ছে। তালার সঙ্গে তো চাবি এমনিতেই দেয়। এছাড়া চাবি বানাতে গেলে তো এতো টাকা লাগে না। তাই এতো টাকা নেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই বিষয়ে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলব।'

হলের আবাসিক শিক্ষক ড. শরাবান তোহুরা জানান, তালা-চাবি ক্রয় ও বণ্টনের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি আছে। সেটির আহ্বায়ক আবাসিক শিক্ষক প্রতিভা ম্যাম। আমি এই কমিটিতে ছিলাম না। তাই কীভাবে বণ্টন হলো, কতো টাকা নেওয়া হলো আমি জানি না।

হলের আবাসিক শিক্ষক ও তালা-চাবি বণ্টন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকারকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের কাছেও একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা, ১৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ