Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
অতনু বর্মণ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী

মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০৩:১৯

অভিযুক্ত অতনু বর্মণ (বামে) ও ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান সজীব

ঢাবি লাইভ: এবার মিছিল নয় ভিন্ন কারণে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ মিলেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি খুবই দাপুটে নেতা। হলে সভাপতি গ্রুপ ছাড়া কেউ তার সামনে কথা বলার সাহস নেই। তিনি আর কেউ নন। তার নাম অতনু বর্মণ। জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এবার বাইক বহরের সামনে দিয়ে ইউ-টার্ন করা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অতনু বর্মণের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংশ্লিস্ট শিক্ষার্থী আছেন আতঙ্কে।

জগন্নাথ হল সূত্রে জানা গেছে অতনু বর্মণ খুবই দাপুটে নেতা। তিনি কঠোর স্বভাবের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত অতনু। ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান সজীব সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরের পর এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে তাকে শাসিয়ে দেয়াও হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাকিবুল হাসান সজীব প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তার সহপাঠিরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। তাকে এলাপাতারি কিল-ঘুষিসহ লাঞ্ছিত করা হয়। তাকে রাস্তায় রেখে অতনু ও তার দলবল চলে যায়। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে রাকিবুল হাসান সজীবকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের পাদদেশ হয়ে বাইক নিয়ে আসার সময় আমার এক বন্ধু আমাকে ডাক দেয়। আমি বাইকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ তার অনুসারীদের নিয়ে বাইক বহরে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় একটি সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাই।

তখন উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমি প্রত্যুত্তরে বলি, ‘এই ভাই, খাড়ান!’ এ কথা বলার পরপরই হঠাৎ করে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের ওনার আনুমানিক ২০ জন অনুসারী এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। কয়েক মিনিট ধরে তারা গণহারে মারধর করে। আমার মাথা, কান, গলা, হাত-পায়ে এবং পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে। আহত অনেকটাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরো বলেন, আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পরও তারা মারা থামায়নি। বরং তারা আরও বেশি করে মারে। পরে আমার দুই বন্ধু এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেয়। এ ঘটনায় অফিশিয়ালি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে অভিযোগ করছেন বলেও সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।

মারধর ও লাঞ্ছিত করার ব্যাপারে জানতে চাইলে অতনু বর্মণ শুরুতে ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এরকম তো কোনো ঘটনা ঘটেনি! আমার হলে কালকে টুর্নামেন্ট আছে। আমি নিজেই তো আজ সারাদিন ব্যস্ত আছি। টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়িতে আছি। পরে বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করেন অতনু।

ছাত্রলীগ নেতা অতনু বলেন, তার সাথে আমার শুধু মুখে তর্কাতর্কি হয়েছে। তর্কাতর্কি বলতে সে প্রথমে আমাকে চিনতে পারেনি। এরপরে কথা বাদে আর কিছু হয়নি। সে যেহেতু আমার ক্যাম্পাসের জুনিয়র, সে আমাকে পরে ‘স্যরি’ বলল। এরপর ব্যস্ততার কারণে আমিও চলে আসি, সেও চলে যায়। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরের মতামত নিতে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ভিন্ন ভাবে ওই ঘটনাটি তার নজরে আনা হয়েছে।

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ