ঢাবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মো. আখলাকুজ্জামান অনিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান -এর নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন বিভাগের মাস্টার্স সেকেন্ড সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারজিয়া হক ফারিন, সায়মা আক্তার, মেহেদী হাসান, রাউফুর রহিম। এ সময় বিভাগের অন্যান্য বর্ষে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, হামলাকারীরা অনিককে ঘুম থেকে উঠিয়ে অতর্কিত হামলা করে, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আঘাত এতটাই গুরুতর যে মাথায় আটটি সেলাই করতে হয়েছে।
অনিকের রুমমেট ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাজিব আহমেদ অনিককে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা তাকেও গুরুতর আহত করে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে যারা একজন শিক্ষার্থীর উপর নীল নকশা করে হামলা করতে পারে তারা কোন মতাদর্শের তা খতিয়ে দেখা দরকার। রকলিপিতে আরও বলা হয়, হামলার শিকার অনিক Ankylosing Spondylitis দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে প্রতিমাসে পঁচিশ হতে ত্রিশ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এই ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয় তার পরিবারকে। এমন নৃশংস হামলায় তার মৃত্যুও হতে পারতো।
জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলা হয়, ইতোমধ্যে হল প্রশাসন হামলাকারীদের হল থেকে বহিষ্কার করেছে। আমরা মনে করি দালিলিকভাবে প্রমাণিত এই নৃশংস অপরাধের শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় হলের ভেতর এমন অতর্কিত হামলা শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করে, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে এবং শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে।
তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান, তারা যেন বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় এনে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধকে হালকাভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এই বিষয়টি শক্তভাবে দেখবে। হল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠালেই আমরা ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের নিকট হস্তান্তর করে দেব।’
ঢাকা, ০৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: