Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

৩ দফা দাবিতে সাত কলেজে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২২, ২৩:৫৭

ইমরান হোসাইন: পরীক্ষার প্যার্টান পরিবর্তন, গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার স্থায়ী সমাধানসহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ তিন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত সশরীরে, অনলাইনে কোন ধরণের ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্যান্য বিভাগে ৮০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষা হয় সেখানে দর্শন বিভাগে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। আর ইনকোর্সের নম্বর প্রতি ইয়ারে যোগ হয় না। যার ফলে ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে। অন্য বিভাগগুলোর চেয়ে ফলাফল নিম্ন মানের হয় ফলে বৈষম্যের শিকার শত শত শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, একই কলেজে অন্য বিভাগে যেখানে বেশীরভাগ শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন সিজিপিএ ২.৫০ এর বেশি পায় আর দর্শন বিভাগে সিজিপিএ ২.৫০ তুলতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ফেল করা বিষয় গুলো চ্যালেঞ্জ করলে প্রতিবছর এর ফলাফল কোন পরিবর্তন হয় না, চ্যালেঞ্জ করতে গেলে টাকা লাগে ফেল করা প্রত্যেক সাবজেক্টের জন্য, আবার ইম্প্রুভ দিতে গেলেও টাকা লাগে প্রতি সাবজেক্টের জন্য। এই জন্য সাত কলেজের দর্শন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে।

এ ব্যাপারে কবি নজরুল সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে দর্শন বিভাগের ফলাফল খুবই নিম্নমানের, পরীক্ষার খাতা সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া, গণহারে ফেল দর্শন বিভাগের নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসকল সমস্যা সমাধানে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করলাম।

ইতিমধ্যে সাত কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকদের তিন দফা দাবি সমূহ জানানো হয়েছে। তারা বলেছেন, আগামী রবিবারে সাত কলেজের প্রিন্সিপালদের মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরা হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৩ মার্চ এর পর থেকে কঠোর আন্দলনের হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ হচ্ছে,

১. পরীক্ষার প্রশ্ন প্যাটার্ন পরিবর্তন করতে হবে। (লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বরের নিতে হবে এবং ২০ নম্বর ইনকোর্স, ক্লাস উপস্থিতি, ভাইবা থেকে নিতে হবে)।

২. পরীক্ষার খাতার পুুনঃ মূল্যায়ণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করতে হবে।

৩. পরীক্ষার খাতার সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে গণহারে ফেলের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

উল্লেখ্য, দর্শন বিভাগের ২০২০ সালের বিভিন্ন বর্ষের ফলাফল ধসের চিত্র নিম্নরূপ:

প্রথম বর্ষ সেশন ২০১৯-২০(দর্শন বিভাগ)
মোট পরীক্ষার্থী :৮৫৫ জন
প্রমোটেড/পাশ : ১৯২ জন
অকৃতকার্য /ফেল: ৬৬৩ জন
পাশের হার ২২.৪৫%।

দ্বিতীয় বর্ষ সেশন ২০১৮-১৯ (দর্শন বিভাগ)
মোট পরীক্ষার্থী : ৫৫১+২৫১(মানোন্নয়ন সহ)
উপস্থিত ৫৩৮ জন
প্রমোটেড /পাশ : ২৬২ জন
অকৃতকার্য /ফেল: ২৭৬ জন
পাশের হার: ৪৮.৭০%

তৃতীয় বর্ষ সেশন ২০১৭-১৮ ( দর্শন বিভাগ )
মোট পরীক্ষার্থীঃ ৩৮২জন
অনুপস্থিত : ৬ জন
উপস্থিত : ৩৭৬ জন
প্রমোটেড /পাশ : ১৯৯ জন
অকৃতকার্য /ফেল: ১৭৭ জন
পাশের হার:৫২.৯৩%

ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আইএইচ//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ